বাংলাদেশ যখনই কোনো জাতীয় সংকটে পড়ে তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ বাতাসে পাওয়া যাচ্ছে। করোনার সংকট থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন জীবন ও জীবিকার লড়াইয়ে বাঙালি জাতি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতিকে খাটো করে বিতর্কিত করা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলীয় সভানেত্রীর কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন। সভাপতির বক্তৃতায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ দেশে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ হাসিনা কারাবন্দী থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠন এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনপণ লড়াই করেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।