সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

তদন্ত হচ্ছে না বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর

করোনাকালে পরপারে অর্ধশতাধিক রোগী

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চার হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু, অনুনয়-বিনয় করেও অক্সিজেন না পেয়ে রোগীর মৃত্যু এবং আইসিইউর অভাবে শ্বাসকষ্টের রোগীর মৃত্যুর মতো বিনাচিকিৎসায় এসব মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত হচ্ছে না। এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো উদ্যোগও নেই বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, মৃত্যুর পর শোকে কাতর হয়ে যান স্বজন। তাছাড়া দাফন-কাফন ও সৎকারে ব্যস্ত থাকে পরিবার। তাই বিনাচিকিৎসায় মারা গেলেও এ নিয়ে সিভিল সার্জন বা জেলা প্রশাসনে কেউ অভিযোগ করেন না। তাছাড়া অভিযোগ করা হলেও প্রতিকারের দৃষ্টান্ত বিরল। তাই অতীত অভিজ্ঞতায় অভিযোগ করতে আগ্রহী হন না অনেকেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৮ জুন সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী হাজী টিএসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক নুরুল আলম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনটি হাসপাতাল ঘুরেও ভর্তি হতে পারেননি। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ১২ জুন রবিবার কক্সবাজারের জিয়াউল করিমের স্ত্রী জেবুন্নেছার (৪৮) করোনাভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট না থাকায় সারা রাত চেষ্টা করেও চট্টগ্রামের          কোনো হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে সারা রাত অপেক্ষার পর সকালে বিনাচিকিৎসায়ই মারা যান চার সন্তানের এ জননী। একই দিন মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক নারু গোপাল চক্রবর্তীকে (৬৯) বুকে ব্যথা নিয়ে সিএসসিআর হাসপাতালের এক্স-রে রুমে নেওয়া হয়। এ সময় রোগীর অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার হলে চিকিৎসককে অনুরোধ করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি। পরে অক্সিজেন ও আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে মারা যান বলে স্বজনদের অভিযোগ। কেবল এসব ঘটনা নয়, গত এপ্রিল, মে ও জুন মাসে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে অন্তত অর্ধশত রোগী বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

তবে এসব মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সিভিল সার্জন কার্যালয়েও।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর