বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

কর্মসংস্থানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে

-ড. নাজনীন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য কর্মসংস্থানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের গুণগত মান উন্নয়ন করতে হবে। গতকাল বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। সভা পরিচালনা করেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্র্থনীতিবিদ মাসরুর রিয়াজ। আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলম, দোহাটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুনা শামসুদ্দোহা, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান, আসিফ ইব্রাহিম, অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের কান্ট্রি ম্যানেজার জস চিপম্যান প্রমুখ। মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টিভেন লি।

ড. নাজনীন বলেন, কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ের জন্য অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কর্মসংস্থান। এ জন্য যুবসমাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশজুড়ে আছে নারী। এর মাত্র ৩০ শতাংশ নারী কাজের সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া বহুসংখ্যক মেয়ের নির্দিষ্ট বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এটাও সমাজে অসঙ্গতি ডেকে আনছে। বাকিদেরও কাজের আওতায় আনতে হবে। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। উৎপাদন ও চাহিদা বাড়াতে হবে। 

ড. নাজনীন আহমেদ আরও বলেন, কভিড-১৯ এর কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে। শহরের কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় থাকলেও গ্রামে এবং জেলা শহরে বসবাসকারী বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ইন্টারনেট সেবার আওতায় নেই। এদের সংখ্যাই বেশি। ফলে তাদেরও সে সেবার আওতায় আনা প্রয়োজন। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়লেও গুণগত ও টেকসই প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিনা, তা প্রশ্নের বিষয়।

আবুল কাসেম খান বলেন, কভিড-১৯ এর চাপ সামলাতে সরকার যে কৃচ্ছ্রতা সাধনের পথ বেছে নিয়েছে এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত। তবে উৎপাদন খাতকে গুরুত্ব দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর