শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
ভার্চুয়াল আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা

করোনা ভ্যাকসিনের সাশ্রয়ী প্রাপ্তি নিশ্চিতে চাই নীতিমালা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

‘কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের গবেষণা, উন্নয়ন, সরবরাহ এবং এর সমতাভিত্তিক বণ্টন কাঠামো’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা কভিড-১৯ ভ্যাকসিন যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে এর সাশ্রয়ী ও ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরলেন। এক্ষেত্রে একটি ন্যায্যতাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়নেরও আহ্বান জানান তিনি। ২২ জুলাই অনুষ্ঠিত আলোচনায় বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন তৈরিতে যারা কাজ করছেন তাদের অগ্রগতিসমূহকে খুবই উৎসাহব্যঞ্জক আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কভিড ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল পাবলিক গুড’ হিসেবে পরিণত করতে সুদৃঢ় বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

ইভেন্টটি যৌথভাবে আয়োজন করেন যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ এবং ইউনাইটেড ন্যাশন্স ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ কাউসেনস। এতে কভিডের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনসমূহের সর্বজনীন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে ব্রিফ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা, ভ্যাকসিন ও বায়োলজিক্যালসের পরিচালক কেট ওব্রায়েন এবং গ্যাভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম্যারি-অ্যাঞ্জে সারাকা-ইয়াও। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বৈশ্বিক এই স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা যদি পুনঃসংক্রমণ রোধ করতে চাই, তাহলে প্রস্তুতি, প্রতিরোধ ও পুনরুদ্ধার বিষয়ে একসঙ্গে এবং কার্যকর বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে’। প্রফেসর সারাহ গিলবার্টের নেতৃত্বে কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অক্সফোর্ড জেনার ইনস্টিটিউট টিমের কাজের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। গত মাসে যুক্তরাজ্য আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল ভ্যাকসিন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি, এবং অন্যান্য বেসরকারি অংশীদার গৃহীত ‘এসিটি অ্যাক্সিলেটর অ্যান্ড কোভাক্স ফ্যাসিলিটি’ পদক্ষেপে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, যদি মেধাস্বত্বের অধিকার অবলোপন করা হয় এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয় তবে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো বৈশ্বিক সরবরাহের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সক্ষম। বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়ার পদক্ষেপ ‘দ্য এটিসি অ্যাক্সিলেটর ফর থিরাপিউটিক্স অ্যান্ড কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি’সহ কভিডের প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও আর্থিক বিনিয়োগ কীভাবে সমতার ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেন আলোচকরা। উচ্চ এবং নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য বিশ্ববাজারে সমতাভিত্তিক প্রবেশাধিকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি কাজ শুরু করেছে জানান তারা। ব্রিটিশ সরকার বিশ্বব্যাপী কভিড ভ্যাকসিনের সমতাভিত্তিক বণ্টন বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের জন্য বণ্টন নিশ্চিত করবে মর্মে প্রতিশ্রুতির কথা জানান প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর