সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
সরকারি দর নিয়ে কথা রাখেন না ট্যানারি মালিকরা

সংকটে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

৫০ বছরের মধ্যে চামড়া ব্যবসায়ীরা এমন বেহাল অবস্থার মধ্যে আগে কখনো পড়েননি। ট্যানারি মালিকরা ব্যবসায়ীদের টাকা দিচ্ছেন না। রাজশাহী অঞ্চলে আগে ১২৭ জন ব্যবসায়ী থাকলেও বর্তমানে ব্যবসা করছেন মাত্র ৮-১০ জন। তাদের কাছেও টাকা নেই। নিজের প্রায় আট কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যানারিতে পাওনা থাকলেও এবারের ঈদে কোরবানির চামড়া কেনার টাকা নেই জানিয়ে রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ট্যানারি ও বড় বড় চামড়ার আড়তে বাকিতে চামড়া দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ টাকা কবে নাগাদ আসবে তারও নিশ্চয়তা নেই। পুঁজি হারিয়ে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। আমার মতো অনেকেই কোনোরকমে ভবিষ্যতের আশায় এখনো বসে আছেন।’ গত কয়েক বছর থেকেই কমেছে চামড়ার দাম। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে সন্তুষ্ট নন রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া গত চার বছরে ট্যানারি মালিকদের কাছে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা আছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা আর্থিক সংকটে আছেন।

রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে চামড়ার দাম আরও কমে গেছে। বর্তমানে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা। বড় ছাগল-ভেড়ার চামড়া বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০-১২ টাকা। শ্রমিক ও লবণেই শেষ হয়ে যায়। সরকার নির্ধারিত দাম নগদে পাওয়া গেলেও ভালো। এ অবস্থায় কোরবানির ঈদে চামড়া ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা তার। এদিকে গতবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ কথা রাখেনি। গরিব ও এতিমদের হক চামড়ার দাম নিয়ে গত বছরের কারসাজি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। ৩১ বছরের মধ্যে গতবার কোরবানির ঈদে কাঁচা চামড়ার দরে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় নেমে আসে। দাম না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভে চামড়া নদীতে ফেলেও দেন।

সর্বশেষ খবর