মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
বরিশাল
ভুয়া ক্লিনিক ল্যাবে ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা

মৃত ডাক্তারের নামে রিপোর্ট নকল ডিগ্রিতে প্রতারণা

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশাল মহানগর এবং বিভাগের ৬ জেলা উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের নিবন্ধনকৃত বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক-ল্যাব আছে ৯৬১টি। এর মধ্যে ২৯৭টির পুরোপুরি বৈধতা থাকলেও নানা অসঙ্গতির কারণে এখনো অনুমোদনহীন ৬৬৪টি হাসপাতাল-ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক-ল্যাব। এর বাইরে অনুমোদনের জন্য আবেদন করেনি (নিবন্ধনহীন) এমন হাজারো প্রতিষ্ঠানের হিসাব নেই সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে। অনুমোদনহীন এসব প্রতিষ্ঠানে মৃত ডাক্তারের নামে পরীক্ষার রিপোর্ট, ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার ও নকলসামগ্রী ব্যবহার করে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা চলছে প্রতিনিয়ত। মাঝে-মধ্যে দু-একটা অভিযানে টনক নড়ছে না তাদের। তবে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের কঠোরতায় এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।  বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় নিবন্ধনকৃত ক্লিনিক-হাসপাতাল রয়েছে ৩৯টি। এর মধ্যে ১১টি অনুমোদিত। একইভাবে সিটি এলাকায় নিবন্ধনকৃত ১১৬টি ডায়াগনস্টিক-ল্যাবের মধ্যে অনুমোদন রয়েছে ২৮টির। মৃত ডাক্তারের নামে প্যাথলজি রিপোর্ট ইস্যু করায় গত ২২ জুলাই নগরীর জর্ডন রোডে বরিশাল দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিস ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা এবং অনিয়মের দায়ে ভুয়া ডিগ্রিধারী ডা. নুরে আলম সরোয়ার সৈকত এবং ডায়াগনস্টিকের দুই মালিক এ কে চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন মিলন কাফিকে ৬ মাস করে কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই নগরীর আগরপুর রোডের দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেজিস্টার্ড ডাক্তার না থাকলেও তার সিল-স্বাক্ষর নকল করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ায় ওই সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে সেন্টারের দুই মালিক যথাক্রমে হোসেন শাহিন ও শ্যামল মজুমদারকে ৬ মাস করে এবং দুই কর্মচারী ইব্রাহীম রানা ও শ্যাম সাহাকে ৩ মাস করে কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দুটি অভিযানে নেতৃত্বদানকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে দীর্ঘদিন ধরে চরম অনিয়ম চলছে। সম্মিলিতভাবে এই অনিয়ম রুখে দিতে না পারলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা চরম ঝুঁকিতে পড়বে।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, স্বাস্থ্যসেবার নামে অনেক কুচক্রী মহল নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে রোগীদের জিম্মি করে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসন জোরালো অভিযান শুরু করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর