মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

গরু খামারিদের মাথায় হাত

বৃষ্টি বন্যায় প্লাবিত অনেক এলাকা, কাক্সিক্ষত দাম মিলছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে বৃষ্টি আর বন্যার কারণে গরু খামারি ও গৃহস্থদের মাথায় হাত পড়েছে। বন্যা প্লাবিত এলাকার ছোট খামারি ও গৃহস্থরা ঘরবাড়ি সংস্কার এবং ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কম দামে প্রতিটি গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বন্যা এলাকার বাইরে শহরের খামারিরাও টানা বৃষ্টির কারণে রয়েছেন বিপাকে। বন্যার কারণে গবাদিপশুর খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। এদিকে ঈদ ঘনিয়ে আসায় রংপুরের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে মানুষের ভিড় কিছুটা বাড়লেও জনসাধারণের মধ্যে বাড়েনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা। মাস্কহীন ও শারীরিক দূরত্ব না মেনেই হাটে হাটে ঘুরছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বলা হলেও বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার এমদাদুল মিয়া ১টি, দুলু মিয়া ৩টি, ছয়ফল হোসেন ৩টি ও সাজু মিয়া ৪টি গরু বিক্রি করে দিয়েছেন কম দামে। তাদের আশা ছিল ঈদের সময় এই গরুগুলো বেশি দামে বিক্রি করবেন। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়েবালি হয়েছে। প্রতিটি গরু ৫ থেকে ৭  হাজার টাকা কমে বিক্রি করেছেন তারা। কম দামে গরু বিক্রি করে ঘর মেরামত ও ফসলের কাজে লাগাবেন বলে তারা জানিয়েছেন।

 খামারি রমজান আলীসহ কয়েকজন জানান, বন্যায় তাদের খামারের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। প্রতিবছর এক মাস আগে ঢাকা, চট্টগ্রামের ব্যাপারীরা এসে গরু নিয়ে যেত কিন্তু এবার তাদের সংখ্যা কম থাকায় গরুর দাম উঠছে না। তার ওপর কদিন থেকে বৃষ্টি এসে বাগড়া দিচ্ছে। এদিকে রংপুর নগরীতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে ৭ শর্ত পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো- সরকারি সব নির্দেশনা মেনে হাট পরিচালনা করা, সড়ক ও মহাসড়কের ওপর কোনোভাবেই হাট পরিচালনা না করা, সকাল হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হাটের সময় নির্ধারণ, প্রত্যেক হাটে পর্যাপ্ত ভলান্টিয়ার নিয়োগ ও ভলান্টিয়ারদের পোশাক সরবরাহ, ক্রেতা-বিক্রেতাদের হয়রানি রোধে দালালদের দৌরাত্ম্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, হাটে পর্যাপ্ত মাইক ব্যবহার করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান ও হাসিলের টাকা নিয়ে অনিয়ম রোধে প্রকাশ্য স্থানে হাসিলের টাকা উত্তোলন। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা এবং হাট পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনের বিধিনিষেধ মানছেন না কেউই। গাদাগাদি করে হাটে গরু-ছাগলের সঙ্গে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি। রংপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের উপ-পরিচালক শাহজালাল খন্দকার বলেন, এই বন্যায় গবাদিপশুর ক্ষতি হয়নি। যেসব এলাকায় বন্যা হয়েছে সেসব এলাকায় গৃহস্থ এবং খামারিদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর