বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনা সংক্রমণ

পশুর হাটে লক্ষণ নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

পশুর হাটে লক্ষণ নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার

চট্টগ্রাম নগরে কোরবানির পশুর বৃহত্তম বাজার সাগরিকা, বিবির হাট ও কর্ণফুলী হাট। এসব হাটে বিপুলসংখ্যক পশুর যেমন সমাগম হয়, বিকিকিনিও হয় তেমন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। বাজারগুলোর সামগ্রিক চিত্র স্বাভাবিক সময়ের পরিবেশের মতোই। অভিন্ন চিত্র চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার বাজারগুলোরও। তবে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ না কমায় সবার মধ্যেই কোরবানির পশুর বাজার নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

জানা যায়, কোরবানির পশুর বাজারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, এক পশুর জন্য দুজনের বেশি ক্রেতা না যাওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অব্যাহত মাইকিং করা করা হচ্ছে। তা ছাড়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছেন। গতকালও বিবির হাট, সিএমবি কলোনিসহ বিভিন্ন হাটে অভিযান পরিচালনা করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে বাজার কমিটি ও পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সচেতন থাকতে বলা হয়। একই সঙ্গে অনুমোদনহীন বাজার বসানো হচ্ছে কিনা তাও তদারকি করা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পশুর হাটের ঝুঁকিটা কোনোমতেই অবহেলা করার সুযোগ নেই। এই সময়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অন্যথায় কোরবানির পর এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে। তবে সাধারণ সময়ে মানুষ যে পরিমাণ সচেতন-সতর্ক হয়েছে, কোরবানির হাটে তা দেখা যাচ্ছে না।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘কোরবানির পশুর বাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন করে আসছি। সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাজ করছে। আমরা মনে করি, কোরবানির আগে ও পরের অন্তত ১৫ দিন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের। এ সময়টুকু স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার করতে পারলে আমরা সবাই উপকৃত হব।’

জানা যায়, কোরবানিতে চট্টগ্রাম নগরে স্থায়ী তিনটি ও অস্থায়ী চারটি পশুর হাট রয়েছে। স্থায়ীগুলো হলো সাগরিকা পশুর বাজার, বিবির হাট গরুর হাট ও পোস্তার পাড় ছাগলের বাজার। অস্থায়ী চারটি হলো কমল মহাজন হাট, সল্টগোলা গরুর বাজার, বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণের খালি মাঠ ও কর্ণফুলী পশুর বাজার। তা ছাড়া ১৫ উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় পৌরসভার তত্ত্বাবধানে স্থায়ী-অস্থায়ী ২২৫টি পশুর হাট বসছে। তবে এর বাইরেও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির উদ্যোগে বিভিন্ন মাঠে-ময়দানে ছোট ছোট পশুর হাট বসানো হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর