দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে এক দিনে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তারা কুমিল্লা, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তারা প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরও লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য : কুমিল্লা : গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী। বুধবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন জানান, মৃত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার তালতলার জুলফিকার আলী টিটু (৪৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ফুল মিয়া (৬৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আতরন্নেছা (৭৭), দেবিদ্বার উপজেলার শাহানারা বেগম (৫৫), দেবিদ্বার উপজেলার কাদিরপুর এলাকার মো. শাহাজাহান (৫৫) ও কুমিল্লার তাসলিমা বেগম (৪০)। সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির ছয় ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন আরও একজন (৬১)। বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। পটুয়াখালী : করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে গতকাল ভোরে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তি পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
ওই ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে জ্বর-হাঁচি-কাশিতে ভুগছিলেন। সোমবার সকালে তাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল ভোর সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কভিড-১৯ প্রটোকল অনুয়ায়ী মৃত ব্যক্তিকে সৎকার করা হয়।