বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় ক্রেতারা দ্বিধাগ্রস্ত, ছুটছেন গ্রামের হাটে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় কোরবানির পশুর হাটে দাম কমতে থাকায় দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। লোকসান দিয়ে খামারিরা হাটে গরু বিক্রি করলেও ক্রেতারা আরও দাম কমার প্রত্যাশায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন। অনেকে আবার কম দামে গরু কিনতে ছুটছেন গ্রামের হাটে।  গতকাল সরেজমিন মহানগরীর জোড়াগেট পশুর হাটে গেলে দেখা যায়, গরুর দাম বলেও ক্রেতারা সেই গরু না নিয়ে আরও যাচাই-বাছাই করছেন। নড়াইলের কালিয়ার বিক্রেতা রাহাদুল শেখ জানান, সকালে তার চারটি গরুর দামাদামি করে একজন ক্রেতা দাম বলেছেন। তিনি ওই দামে রাজি হলেও নানা কারণ দেখিয়ে ক্রেতা সেই গরু নিতে চাচ্ছেন না। তিনি বলেন, তিন মণ ওজনের গরু ৬০ হাজার টাকার নিচে বিক্রি করলে লোকসান হবে।

কিন্তু হাটে তা ৪৫-৫০ হাজারের ওপরে কেউ দাম বলছে না।

এদিকে করোনার কারণে কাজ-কর্ম বন্ধ থাকায় এবার গ্রাম এলাকায় গরুর দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা ছুটছেন গ্রামের হাটে। নগরীর শেখপাড়া এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান জানান, প্রতি বছর নগরীর জোড়াগেট থেকে গরু কিনলেও এবার ডুমুরিয়ার খর্নিয়া হাটে গরু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে গত হাটে তিন মণ ওজনের গরু ৪৮-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত বছর খুলনায় কিনতে হয়েছে ৬০-৭০ হাজার টাকায়। খর্নিয়া হাটে এবার ছয় মণ ওজনের বড় গরু বিক্রি হয়েছে ৯৬ হাজার টাকায়। 

জানা যায়, কোরবানির ঈদের আর মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও জোড়াগেট পশুর হাটে গতকাল পর্যন্ত বলা চলে বেচাকেনাই শুরু হয়নি। হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও সেই অনুপাতে ক্রেতা নেই। ক্রেতা হাটে এলেও ঘুরে-ফিরে গরু দেখছেন, কিনছেন না। গরু বিক্রেতা, হাট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা অলস সময় পার করছেন। গত বছর কোরবানির হাটে এখানে প্রায় সাত হাজার গরু বিক্রি হলেও এবার গতকাল পর্যন্ত বিক্রি তিনশর মতো। তবে হাট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বলছেন, খুলনায় মূলত শেষ দিকে বেচাকেনা হয়। গ্রামের হাটগুলো শেষ হওয়ার পর সব বিক্রেতা খামারি এ হাটে ভিড় করে। তখনই জমজমাট বেচাকেনা শুরু হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর