বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু আজ, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু  আজ, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত কাল

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ দেশের সব নিম্ন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচারকাজ শুরু হচ্ছে। এদিকে মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাভাবিক বিচারকাজে ফিরবে কিনা, তা জানা যাবে আগামীকাল। সুপ্রিম কোর্টের পৃথক দুই বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। গত ৩০ জুলাই অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে স্বাভাবিক বিচারকাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে। সেদিন সুপ্রিম কোর্ট এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ৫ আগস্ট থেকে স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়া চলবে দেশের অধস্তন আদালতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক বিধিসহ কিছু নিয়ম পালনসাপেক্ষ প্রধান বিচারপতি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে স্বাভাবিক বিচারকাজ শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে আগামীকাল বিকাল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ সভা করবেন। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের সভার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সভার আলোচ্যসূচিতে প্রথমেই রাখা হয়েছে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ পরিচালনার বিষয়টি। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে বার্ষিক অবকাশকালীন ছুটির বিষয়েও আলোচনা হবে ওই সভায়।

এর আগে ২৬ জুলাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে অবিলম্বে নিয়মিত আদালত চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে প্রস্তাব দেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক ছুটিসহ সব আদালতের ডিসেম্বরের ছুটি বাতিলের দাবিও জানানো হয় ওই প্রস্তাবে। তারও আগ থেকে একই দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীর নেতৃত্বে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে সাধারণ আইনজীবী পরিষদ।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। একই সময় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় আদালতেও। পরে দফায় দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর