তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনো ভেদাভেদ নেই। বাংলাদেশে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আজকে মুসলমানদের কোরবানির ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, সবার ঈদ উৎসবের সময়। ধর্মের মানুষ মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসঙ্গে ভাই ভাই হিসেবে বড় হয়েছি। রবিবার নিজ গ্রাম রাঙ্গুনিয়ার সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধবিহারে জ্ঞাতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়ার বৌদ্ধদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জ্ঞাতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুখবিলাস ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবীর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, ঊর্ধ্বতন সভাপতি পরমানন্দ মহাথের, বাটাপাহাড় সর্বজনীন শালবন বিহার অধ্যক্ষ সুমনতিষ্য থের, ফলহারিয়া সদ্ধর্মলঙ্কার বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ দেবময় ভিক্ষু, পশ্চিম শিলক বনরতœ বিহারের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ বংশভিক্ষু, মাস্টার রঞ্জন বড়ুয়া, আশীষ বড়ুয়া প্রমুখ।

তিনি বলেন, ১১৮ বছর আগের পুরনো বৌদ্ধবিহার। এই বিহারসহ আশপাশের বিহারগুলোর উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি। আমি মনে করি আমার গ্রামের বৌদ্ধমন্দির মানে আমার মন্দির। এবারও এই বিহারসহ পাশের দুই বিহারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এভাবে রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি বৌদ্ধমন্দির একাধিকবার বরাদ্দ পেয়েছে। এই বিহারে আরও দুটি সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে আরও কিছু প্রয়োজন থাকলে সেটিও করা হবে।

এরপর তথ্যমন্ত্রী পাশের সুখবিলাস সর্বজনীন লুম্বীনিকানন বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ফানুস ওড়ান। এর আগে বিকালে তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা চক্ষু হাসপাতাল উদ্বোধন করেন।