শিরোনাম
বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ঈদেও নিষ্প্রাণ বিনোদন কেন্দ্রগুলো

রাহাত খান, বরিশাল

ঈদেও নিষ্প্রাণ  বিনোদন কেন্দ্রগুলো

ঈদেও নি®প্র্রাণ বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। আশানুরূপ দর্শনার্থী নেই। ছবিটি নগরীর প্লানেট পার্ক থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রায় ৪ মাস পর বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলো সীমিত পরিসরে চালু হলেও আশানুরূপ দর্শনার্র্থী নেই। অন্যান্য বছর ঈদের সময় হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়। এবারের চিত্র ভিন্ন। নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো অনেকটাই ফাঁকা। এতে অনেকটা হতাশ সংশ্লিষ্টরা। করোনার কারণে মানুষের মনে ঈদের আনন্দ নেই। তাই তারা খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।  তবে শিশুদের আবদার মেটাতে তাদের নিয়ে বেড়াতে যেতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। আস্তে আস্তে দর্শনার্থী বাড়বে আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এবার করোনার থাবায় এসব দর্শনীয় স্থান অনেকটাই ফাঁকা-নিষ্প্রাণ।

দর্শনার্থীদের হৈ-হুল্লোড় নেই।

করোনা এড়াতে দীর্ঘ ৪ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৯ জুলাই সীমিত পরিসরে খুলেছে বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। তবে তেমন দর্শনার্থীর পা পড়ে না এসব স্থানে। ঈদের সময় অন্তত দর্শনার্থীদের চাপ পড়বে আশা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু ঈদের দিন থেকে গতকাল তৃতীয় দিন পর্যন্ত নগরীর বড় বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। যারাও এসেছেন তাদের মাঝে প্রফুল্ল ভাব দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন ঘরে বন্দী শিশুদের আবদার মেটাতে পার্কে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। তবে পার্কের চিরচেনা রূপ না থাকায় নিরানন্দ নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের। আবার সাময়িক আনন্দ পাওয়ার কথাও বলেছেন অনেকে।

পার্কগুলো ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করা দোকানিরাও রয়েছেন হতাশায়। ঈদে অন্তত কিছু দর্শনার্থীর আবির্ভাব হবে এবং বেচাবিক্রিও ভালো হবে আশায় ছিলেন তারা। কিন্তু ঈদের তিন দিনে আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হা-হুতাশ করছেন তারা।

পার্কগুলোতে আশানুরূপ দর্শনাথী না আসার কারণ হিসেবে করোনাভীতি এবং বর্ষা মৌসুমকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ৪ মাস পর পার্ক খোলা হলেও হতাশার মধ্যে রয়েছেন তারা।

নগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র প্লানেট পার্কের মেকানিক্যাল ফোরম্যান আবদুল জলিল বলেন, পার্কে শিশুদের জন্য ১৮ ধরনের খেলনার (রাইড) ব্যবস্থা রয়েছে। ৪ মাস পর পার্ক খুলে আশায় ছিলেন ঈদে অন্তত ভালো দর্শনার্থী হবে। করোনার ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা যাবে আশা করেছিলেন। কিন্তু ঈদের তিন দিনে আশানুরূপ দর্শনার্থী না আসায় তারা অনেকটা হতাশার মধ্যে রয়েছেন।

প্লানেট পার্কের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহরাব আলী জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে ৪ মাস পর পার্ক সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় পার্ক কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য এত আয়োজন সেই দর্শনার্থীর দেখা মিলছে না। করোনা এবং বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থীরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না বলে মনে করে সোহরাব আলী।

বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, করোনার কারণে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী। শিশুরা ঘরে থাকতে থাকতে অস্থির হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে পার্কগুলো সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর