বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

কারাগারে কথিত টিকটক তারকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাধারণ মানুষকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগে কথিত টিকটক তারকা অপুকে  সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অপুর বিরুদ্ধে ২ আগস্ট উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে লোকজনকে মারধর করার অভিযোগে মামলা হয়। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  রিমান্ড চেয়ে অপু ও তার সহযোগীকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইয়াছিন আরাফাত অপু মোবাইলভিত্তিক অ্যাপস ‘টিকটক’ ও ‘লাইকি’তে নিজের নানা ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন। তার নিজস্ব একটি ফলোয়ার বাহিনী রয়েছে। ২ আগস্ট সন্ধ্যায় উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের আলাওল এভিনিউতে বেশ কয়েকজন অনুসারী নিয়ে রাস্তা দখল করে আড্ডা দিচ্ছিলেন অপু। এ সময় মেহেদী হাসান নামে স্থানীয় এক তরুণ ও তার বন্ধুরা গাড়ি নিয়ে ওই সড়ক ধরে যাওয়ার সময় হর্ন বাজিয়ে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। সড়কে সাইড দেওয়া নিয়ে মেহেদী হাসান ও তার বন্ধুদের সঙ্গে অপুর অনুসারীদের বাগবিত-া হয়। পরে অপু ও তার অনুসারীরা মেহেদী এবং তার বন্ধুদের মারধর করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজনের বাবা এস এম মাহবুব হাসান উত্তরা পূর্ব থানায় অপু ও তার অজ্ঞাত অনুসারীদের নামে মামলা করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার অপুর বাবার নাম শহীদ ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে। দক্ষিণখান এলাকার একটি বাসায় থাকতেন অপু।

জানা গেছে, সোনাইমুড়ীর মাদ্রাসাছাত্র ইয়াছিন আরাফাত অপু। অভাবের কারণে পড়াশোনা করতে পারেননি বেশি দূর। এরপর চাকরি নেন একটি সেলুনে। সেখান থেকে কয়েক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারেন মোবাইলভিত্তিক অ্যাপস টিকটক ও লাইকি সম্পর্কে। নানা ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অল্প দিনেই অর্জন করে জনপ্রিয়তা। দুই মাসেই আয় করেন ৫০ হাজার টাকা। নতুন ভিডিও বানাতে ২ আগস্ট অনুসারীদের নিয়ে ঢাকায় আসেন অপু।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর