শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

জমে ওঠেনি আদালতপাড়া

মাস্ক পরলেও শারীরিক দূরত্ব উপেক্ষিত

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরে আদালত পাড়া জমে ওঠেনি। দুই দিন হলো আদালত খুললেও বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। আদালতে উপস্থিত ৭৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরলেও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়টি ছিল উপেক্ষিত। আদালতে বিচারপ্রার্থীদের এমন উপস্থিতি দেখে হতাশ অনেক আইনজীবী। দুই দিন হাজিরা ও জামিন শুনানি হয়েছে বেশি। এদিকে আদালত চত্বরকে ঘিরে হোটেল, ফটোকপির দোকানগুলোতে লোকজনের উপস্থিতি ছিল একেবারে নগণ্য। বড় বড় হোটেলগুলো এখনো খোলেনি। ফুটপাথের দু-একটি চায়ের দোকান খোলা দেখা গেছে। গতকাল দুপুরে আদালত চত্বরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। আদালত পাড়ায় সিভিল কোর্ট রয়েছে জেলা জজ আদালতসহ পাঁচটি। ফৌজদারি আদালত রয়েছে তিনটি, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত রয়েছে পাঁচটি, জেলার আট থানার আটটি আমলি ও মেট্রোপলিটনের ছয়টি থানার ছয়টি আমলি আদালত রয়েছে। এসব আদালতকে ঘিরে একসময় হাজার হাজার বিচার প্রার্থী উপস্থিতি থাকতেন। কিন্তু আদালতের স্বাভাবিক কাজ শুরু হলেও উপস্থিতি হতাশাজনক বলে অনেক আইনজীবী মন্তব্য করেছেন। আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি প্রবীণ আইনজীবী আবদুল জলিল বিচার প্রার্থীর উপস্থিতির হার কম দেখে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আদালত খুললেও করোনার কারণে আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনেক মানুষ করোনাভীতির কারণে আদালতমুখী হচ্ছে না। বিচারপ্রার্থীরা আদালতমুখী না হলে বিচার ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। আবদুল মতিনসহ বেশকজন বিচার প্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর আদালত খোলায় তাদের অনেকেই হাজিরা দিতে এসেছেন। কারও কারও জামিনের আবেদন শুনানি হয়েছে। অনেকে জামিনও পেয়েছেন। তবে মামলার যুক্তিতর্ক কিংবা কোনো রায়ের শুনানি হয়নি। তবে তারা আশা করছেন রবিবার নাগাদ আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক হতে পারে।

  একাধিক আইনজীবীর সহকারী জানান, করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর আদালত বন্ধ ঘোষণা করায় বলা চলে এক প্রকার বেকার ছিলাম। আদালত খুলেছে তবে উপস্থিতির হার খুব কম। উপস্থিতির হার এরকম থাকলে আদালত খোলার যথার্থতা নিয়ে কথা উঠতে পারে।

শিক্ষানবিশ আইনজীবী পলাশকান্তি নাগ জানান, আদালত খুলেছে এটা হয়তো অনেকেই জানেন না। আবার অনেক আইনজীবী হয়তো মক্কেলের সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারেনি। এসব কারণে উপস্থিতি কিছুটা কম।

তারা আরও বলেন, করোনাকালে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে কিছু কাজ কর্ম হলেও সবাই আশা করেছিল আদালত খুললে হয়তো বিচারব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে। কিন্তু দুই দিন হয় আদালত খুলেছে কিন্তু বিচার প্রার্থীর সংখ্যা বাড়েনি। তবে তারা আশা করছেন, রবিবার থেকে আগের মতোই আদালতের উপস্থিতি বাড়বে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, দীর্ঘদিন পর আদালত খুলেছে। উপস্থিতির হার বাড়তে আরও দু-চার দিন সময় লাগবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর