রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

টেলিমেডিসিনে ঝুঁকছে রোগীরা

ফিজিক্যাল এক্সজাম না থাকায় খুলনায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

টেলিমেডিসিনে ঝুঁকছে রোগীরা

খুলনায় করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে ‘টেলিমেডিসিন’ বা ভার্চুয়াল চিকিৎসা সেবা নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই পদ্ধতিতে রোগীর বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ওষুধ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, শারীরিক (ফিজিক্যাল এক্সজাম) ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা না করে ওষুধ সেবন করা রীতিমতো বিপজ্জনক।

জানা যায়, করোনাভাইরাস আতঙ্কে খুলনায় মার্চের মাঝামাঝি থেকে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ করে দেয় চিকিৎসকরা। এতে বিপাকে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে খুলনায় সম্প্রতি টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালু করেছেন চিকিৎসকরা। ল্যাবকন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, টপ চয়েজ ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত ৮০০-১০০০ টাকা ফি দিয়ে টেলিমেডিসিন চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে এতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন রোগীরা।

লিভার সমস্যায় আক্রান্ত খাদিজা বেগম জানান, ‘একহাজার টাকা ভিজিট দিয়ে অনলাইনে সেবা নিতে বাধ্য হয়েছি। তবে চিকিৎসক অনলাইনে আমার কথা শুনে কি বলছেন সঠিক বুঝতে পারিনি। পাশ থেকে একজন লিখেছেন এবং ল্যাবকন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কয়েকটি নমুনা পরীক্ষা করাতে বলেন। আগের মতো ভিজিট দিলেও প্রত্যাশিত সেবা মিলছে না।’

বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশন, খুলনার সভাপতি ডা. গাজী মিজানুর রহমান বলেন, অনেকে না বুঝেই টেলিমেডিসিনের দিকে ঝুঁকছেন। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জ্বর, সর্দি কাশির মতো সাধারণ কিছু রোগের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তবে ফিজিকাল এক্সজাম বা ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট ছাড়া শুধু লক্ষণ শুনে ওষুধ দিলে তা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।

এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’র জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, অনলাইনে এই চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ৮০০-১০০০ টাকা ভিজিট নেওয়া অমানবিক। এক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি থেকে অর্ধেক বা ৪০% ভিজিট কম নেওয়া যেতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর