জরুরি ভিত্তিতে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম নিষিদ্ধ করার ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড আগে বন্ধ করলে আজ মেজর সিনহাকে অকালে প্রাণ দিতে হতো না। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না- এ ঘোষণা সরকারকেই দিতে হবে। মেজর সিনহার হত্যাকান্ডকে ঘিরে যে নির্মমতা প্রকাশ পেয়েছে তা এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে তা ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম নিষিদ্ধ করতে হবে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি এসব কথা বলেন। তার সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দেন দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার। আ স ম রবের চার দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- (১) বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম নিষিদ্ধ করা; (২) এ যাবৎ সংঘটিত সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করা এবং সুষ্ঠু স্বচ্ছ বিচারের আওতায় এনে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা; (৩) ঔপনিবেশিক পুলিশি আইন ও ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করে স্বাধীন দেশের উপযোগী করার লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করা; এবং (৪) রাষ্ট্রীয় সব অস্ত্রধারী প্রতিষ্ঠানকে সাংবিধানিক শৃঙ্খলায় রাখা এবং রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সাংবিধানিক শাসনের আনুগত্য নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, জীবনের সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের মৌলিক কর্তব্য। রাষ্ট্র বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নাগরিকের জীবন রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্ত্রধারীর হাতে জিম্মি করে দেওয়া কোনোক্রমেই রাষ্ট্রের করণীয় হতে পারে না। সরকারের নির্দেশনার বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কর্মকান্ড পরিচালনা করার এখতিয়ার নেই।
আ স ম রব বলেন, কোনো হত্যাকান্ড যখন আর ধামাচাপা দেওয়ার সুযোগ থাকে না তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে না কাউকে ব্যক্তিগতভাবে দোষী বা অভিযুক্ত করে বা শাস্তি দিয়েই সরকার নিজের পাপ থেকে মুক্তি পেতে চায়। এটা আইনগত ও নৈতিকতা পরিপন্থী। যে সরকারি কর্মচারী সরকারি ইউনিফর্ম পরে সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করে বেআইনি কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে তাকে যেমন অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে তেমনি সরকারকেও তার দায় নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ব্যক্তিবিশেষকে শাস্তি দিয়ে নাগরিকের জীবন সুরক্ষার মৌলিক কর্তব্য থেকে রাষ্ট্র বিমুক্ত হতে পারে না।
