সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতা নিরসনই বড় চ্যালেঞ্জ খুলনায়!

সড়ক উঁচু করায় ভোগান্তি, নদী খননে নজর

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বৃষ্টি হলেই খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে হঁাঁটু পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নেও সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। উপরন্তু, কয়েকটি এলাকায় সড়ক উঁচু করায় নতুন করে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এতে বৃষ্টির সময় ড্রেনের নোংরা পানিতে বসতঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে শহরের তুলনায় রূপসা নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। এতে জোয়ারের সময় নদীর পানি উল্টো শহরের অভ্যন্তরে ঢুকছে। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারের পাশাপাশি নদী খনন এখন সময়ের দাবি। জানা যায়, নগরীর শেখপাড়া বাজার সড়ক ও শেরেবাংলা রোডে সংস্কারের নামে সড়ক ও ড্রেন উঁচু করা হয়েছে। এতে আশপাশের দোকানঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সড়কের তুলনায় এক থেকে দেড় ফুট নিচে চলে গেছে। ফলে বৃষ্টি হলে ড্রেনের নোংরা পানিতে চারপাশ ছয়লাব হচ্ছে।  এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী খনন ও শহরের পানি নদীতে অপসারণের বিকল্প চিন্তাভাবনা করছে সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে ‘জলবায়ু সহিষ্ণু খুলনা উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পে ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। তাদের এ প্রকল্পের আওতায় নদী খননের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, খুলনায় অপরিকল্পিতভাবে সড়কের মাঝে আড়াআড়ি পথচারী পারাপারের নামে কালভার্টের মতো উঁচু করা হয়েছে। এতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতায় সামান্য বৃষ্টিতে শান্তিধাম মোড়, রয়েলের মোড় তলিয়ে যায়। পরিকল্পিত উদ্যোগ না নিলে টাকাই খরচ হবে ভোগান্তি কমবে না। এদিকে কেসিসির বাজেট অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ মো. গাউসুল আযম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮২৩ কোটি টাকার চলমান প্রকল্পে বড় ড্রেনগুলো প্রশস্ত ও নদী পর্যন্ত ধারাবাহিক ঢালু করা থাকবে, যাতে পানি চলাচলে বাধা না পায়। তবে কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে নদীর পানি বাধ উপচে শহরে ঢুকছে। ফলে ভৈরব ও রূপসা নদীর তলদেশ খনন করা ছাড়া নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর