সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাসের উপসর্গে আরও ৫ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে এক দিনে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। তারা ঢাকা, কুমিল্লা ও সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তারা প্রত্যেকেই হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরও লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য- ঢাকা : করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় রহমত আলী নামে এক রাজস্ব কর্মকর্তা মারা গেছেন। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্তায় তিনি মারা যান।

 তিনি রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। রহমত আলী বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনে দায়িত্বরত অবস্থায় অসুস্থ হন। এক সপ্তাহ আগে প্রথমে তার জ্বর হয়। ৩-৪ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় পরিবারের সিদ্ধান্তে দুই দিন আগে বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তিনি মারা যান। তার বাড়ি কুড়িগ্রামে বলে জানা গেছে।

কুমিল্লা : কুমিল্লার কভিড হাসপাতালে করোনাভাইরাসে সংক্রমণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ৫৫ বছরের এক পুরুষ, রাত সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শৈলখালী এলাকার ৬০ বছরের এক পুরুষ ও বেলা ২টায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বড়চর এলাকার ৬৫ বছরের এক নারী মারা যান।

সাতক্ষীরা : জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনাভাইরাসে সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক গৃহবধূর (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি সাতক্ষীরা শহরের বাসিন্দা ছিলেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৩০ জুলাই দুপুরে ওই গৃহবধূ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আছে কি না পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনার উপসর্গ নিয়ে এ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় ১২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর