সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর চলার পথ মসৃণ করেছিলেন বঙ্গমাতা

জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো পিছুটান ছিল না বলেই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যেতে পেরেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর এই চলার পথকে মসৃণ করেছিলেন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ মুজিব। শনিবার রাতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজিত হয় ‘গৃহকোণ থেকে জনগণের হৃদয়ে’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনার। এতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমদ, বর্তমান উপ-উপাচার্য কবি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। আমির হোসেন আমু বলেন, বেগম মুজিবের মধ্যে কিছু ঐশ্বরিক ক্ষমতা থাকতে পারে, নয় তো যে বয়সে ছেলেমেয়েদের বাবা-মার কাছে আবদার থাকে, সে বয়সেও বেগম মুজিব বায়না না করে বঙ্গবন্ধুর হাতে তার জমানো টাকা তুলে দিতেন, যাতে বঙ্গবন্ধুর কলকাতায় কষ্ট না হয়।

এই যে তার ত্যাগ, সেই ত্যাগের বিনিময়েই বঙ্গবন্ধুর কিন্তু বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা। বঙ্গবন্ধুর জীবনে সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ হিসেবে বেগম মুজিব এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে যেভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন, মূল্যায়ন করেছিলেন, তা তার লেখনীতে প্রমাণিত হয়েছে।

বঙ্গমাতার সঙ্গে তার নিজের অনেক ঘটনার উল্লেখ করে আমু বলেন, ‘আমরা যারা ছাত্ররাজনীতি করতাম, আমরা সবচেয়ে বেশি তার সান্নিধ্য পেয়েছি, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি আমাদের সাহস জুগিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এমনকি ঈদ করার টাকাও আমাদের দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য। তার জমানো টাকা পরিবারের পেছনে খরচ না করে আমাদের মতো ছাত্রনেতাদের দিতেন আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে নেওয়ার জন্য।’

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গমাতাকে দেখার। বাবার সঙ্গে ৩২ নম্বর বাড়ি গিয়েছিলাম একবার। তাকে দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম, এত বড় একজন মানুষের স্ত্রী এত সাধারণ হবেন আমার ধারণাই ছিল না!’

সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থানের সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব সম্পর্কে নানা জানা-অজানা কথা তুলে ধরেন। তিনি তার প্রবন্ধে বঙ্গমাতাকে একজন শান্ত, ধীরস্থির, ধৈর্যশীল, সাহসী, প্রজ্ঞাবতী, তেজস্বিনী ও অমায়িক হিসেবে উল্লেখ করেন। দেশের জন্য তিনি তার দুই সন্তানকে মাতৃভূমি স্বাধীন করার লড়াইয়ে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনে শেখ ফজিলাতুননেছার শতবার দেখা করতে যাওয়ার ঘটনাও প্রবন্ধে উল্লেখ করেন এ সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর