মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

চার মাস পর লন্ডনের যাত্রীরা সরাসরি নামলেন সিলেটে

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব যাত্রী ফিরলেন ঘরে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

কভিডের কারণে প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১১৬ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (বিজি-২০২) সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যাত্রীদের মধ্যে ৬৫ জন ছিলেন সিলেটের। লন্ডন থেকে সরাসরি ফ্লাইটে সিলেট আসতে পেরে স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এপ্রিলের শুরুতেই বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশ যোগাযোগ। ফলে গত ২৯ মার্চের পর লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে বিমানের আর কোনো ফ্লাইট আসেনি। গত কিছুদিন থেকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ শুরু হলেও বাতিল করা হয় লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট। সিলেটের পরিবর্তে ফ্লাইট এসে নামে ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে দেশে ফেরা সিলেটের যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এর মধ্যে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বিমানের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় লন্ডন থেকে আসা সিলেটের যাত্রীদের ঢাকায় ইমিগ্রেশন করে ডমেস্টিক ফ্লাইটে লাগেজ নিয়ে সিলেট ফিরতে হবে। এতে প্রবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।  পরবর্তীতে ৩০ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় পুনরায় লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাত্রীদের মধ্যে কারও কভিড-১৯ উপসর্গ থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে একটি হোটেলেরও ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে গতকাল সকালে লন্ডন থেকে ১১৬ জন যাত্রী নিয়ে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। এই যাত্রীদের মধ্যে ৬৫ জন ছিলেন সিলেটের। তাদের নামিয়ে দিয়ে বাকি ৫১ জনসহ অভ্যন্তরীণ আরও ৩৪ জন যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এদিকে লন্ডন থেকে আসা যাত্রীরা ওসমানী বিমানবন্দরে নামার পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় কারও শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

তাই তাদের যার যার বাসাবাড়িতে গিয়ে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।  লন্ডন থেকে সরাসরি ফ্লাইটে আসতে পেরে স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন সিলেটের যাত্রীরা। সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা আশফাক আহমদ জানান, গত জুন মাসে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তিনি ওই সময় ফেরতে পারেননি। পরবর্তীতে ফ্লাইট চালু হলেও সিলেটের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে দেশে ফেরায় ভোগান্তির আশঙ্কায় ছিলেন। অবশেষে লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়ায় তিনি কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই দেশে ফিরতে পেরেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর