পাবনার সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মোট ৪টি মামলা হয়েছে। নন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। উভয় পক্ষের ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের পিয়াদহ গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লার ভাই জহুরুল ইসলাম কল্লোলকে বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ ও নন্দনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হেলালের পক্ষের আশিককে ককটেলসহ আটক করে।

জহুরুল ইসলাম কল্লোলের বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। রাতেই এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করা হয়। রবিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন।

এ বিষয়ে যুবলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, নন্দনপুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করায় চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।

নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লা জানান, আগামী ইউপি নির্বাচনে হেলাল চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে। সে আমার পরিবার ও আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠছে।

সাঁথিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আটকদের পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হবে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আরও আসামিকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।