বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

মহামারী সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক

-অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন কভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশ যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২৪ শতাংশ অর্জন করেছে সেটা সন্তোষজনক। যদিও এটা খসড়া হিসাব। গতকাল অর্থবিভাগ, এনবিআর, ইআরডি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর দফতর থেকে পরে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি মূল্যায়নে প্রতি তিন মাস পরপর চার বিভাগের সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকের শুরুতে অর্থমন্ত্রী করোনা মহামারীর মধ্যেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হওয়ায় এবং মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ চারটি বিভাগ আমরা একটি টিম হিসেবে কাজ করছি। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা অক্ষুণœ রাখার জন্য আমাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদ মবিলাইজেশন এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার প্রতি আমাদের যতœশীল হতে হবে। আমাদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও সকল প্রকার জটিলতা নির্ধারণে আমরা প্রতি তিন মাস পরপর একটি সমন্বয় বৈঠক করে থাকি। কভিড-১৯-এর কারণে গত কয়েক মাস আমরা বৈঠক করতে পারিনি। এখন থেকে নিয়মিত প্রতি তিন মাস পরপর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এখন থেকে একেক সময়ে একেক বিভাগের দফতরে এ বৈঠক হবে। কাজ করার গতি যাতে ঠিক থাকে তাই মাঝে মাঝে আমরা আমাদের পারফরমেন্স রিভিউ করব এবং কীভাবে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে বিষয়ে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করব। কর্মক্ষেত্রে যদি কোনো জটিলতা তৈরি হয় আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা হবে।  বৈঠকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশগ্রহণ করেন। সচিবরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করে চার বিভাগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। অর্থ সচিব বাজেট ঘাটতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার নিমিত্তে জাতীয় রাজস্ববোর্ডের সহযোগিতা কামনা করেন। পরবর্তী বাজেট কী রকম হবে, কোন কোন খাতগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখন থেকে কাজ শুরু করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সমন্বয় সভার আলোচনার মাধ্যমে সময়ে সময়ে তা আপডেট করার ইঙ্গিত প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর