বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজশাহী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে ভলিউম বই গায়েব!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে একটি দলিলের ভলিউম বই গায়েব হয়ে গেছে। বার বার আদালত তলব করলেও ভলিউম বইটি পাঠানো হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর শুধু এই ভলিউম বইয়ের কারণে বছরের পর বছর এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কৃষকের মামলা শেষ হচ্ছে না। ভুক্তভোগী এই কৃষকের নাম অনিল কুমার মাহাতো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মাধবপুর গ্রামে তার বাড়ি। তার বাবা বিরেন্দ্র মাহাতো মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে চলে যান। তার রেখে যাওয়া জমি অনিল কুমার মাহাতো ভোগ করে আসছিলেন। হঠাৎ ২০০৭ সালে বেশ কিছু ব্যক্তি দাবি করেন, বিরেন্দ্র মাহাতো ১৯৬৪ সালে এসব জমি তাদের কাছে বিক্রি করে গেছেন। এ নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। অনিল কুমার নাচোল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। ২০১৪ সালে মামলার রায় হয় বিবাদীদের পক্ষেই।

 অনিল কুমার মাহাতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। এরপর আদালত কয়েক দফা ১৩ মে ১৯৬৪ সালের ৮৩৬৯ নম্বর দলিলের ১১১ ভলিউমের ৬৬ থেকে ৬৯ পর্যন্ত পৃষ্ঠা তলব করেন। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে তা পাঠানো হয়নি। প্রত্যেকবার সদর সাব-রেজিস্ট্রার চিঠি দিয়ে আদালতকে বলেছেন, ভলিউম বইটি খুঁজে না পাওয়ায় আদালতে উপস্থাপন করতে না পারায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। বইটি পাওয়ামাত্র আদালতে পাঠানো হবে।কিন্তু ভুক্তভোগী অনিল কুমার মাহাতো বলছেন, বিবাদীপক্ষ নকল কবলা দলিল দেখিয়ে তাদের পক্ষে রায় নিয়েছে। আসল দলিলের ভলিউম সংরক্ষিত আছে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। বিবাদীরাই সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়কে প্রভাবিত করেছে। যার কারণে ভলিউম বই পাঠানো হচ্ছে না। অনিল বলেন, ভলিউম বই উপস্থাপন করা হলে তিনি মামলায় জিতবেন। সে কারণেই ভলিউম বই ছাড়া হচ্ছে না। সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি জানি না। আমার আগের সাব-রেজিস্ট্রার কোর্টকে এমন জবাব দিয়েছেন। ভুক্তভোগী কৃষক এলে সেটি খুঁজে দেখার ব্যবস্থা করব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর