চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো চলছে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধন ছাড়াই। ফলে মেডিকেল বর্জ্য থেকে ছড়ায় রোগ জীবাণু। দূষিত হয় বাতাস-পরিবেশ। সংক্রমণ ঝুঁকি থাকে নানা রোগের। তবে মহানগরের হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতালে মেডিকেল বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা থাকলেও তা নিয়মিত পরিচালনা করা হয় না বলে অভিযোগ আছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নগরের হাসপাতাল বর্জ্যগুলো অপসারণ করে থাকে সেবা সংস্থা নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালসহ পাঁচটি। তাছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে ৯১টি এবং উপজেলায় আছে ৬৩টি। চট্টগ্রাম মহানগরের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দৈনিক দুই থেকে আড়াই টন বর্জ্য অপসারণ করে চসিক। তবে এসব বর্জ্য সংগ্রহের পর হালিশহরের বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হয়। চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, ‘নগরের হাসপাতাল থেকে দৈনিক প্রায় আড়াই টন ক্লিনিক্যাল বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এসব বর্জ্য সংগ্রহের পর পৃথক করে বর্জ্যাগারে ফেলা হয়। কিন্তু আমাদের কাছে ইনসেলেটার মেশিন (বর্জ্য পুড়িয়ে নষ্ট করার মেশিন) না থাকায় তা একবারে নিশ্চিহ্ন করা যায় না।’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগর ও জেলার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে বর্জ্য ব্যস্থাপনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রত্যক্ষ কর্মকান্ড দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’