রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারীর আত্মীয় ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা আদর। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ঘটনার বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ১ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। মামলায় বেলায়েত হোসেনের পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুই বছর আগে আসামি বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় বাদী আদরের। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বাড়ির জমি রেজিস্ট্রি করতে গত বছর ১১ আগস্ট আদরের বাবা গোলাম মোহাম্মদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই টাকা পরিশোধে আসামি ১৫ মার্চ চেক দেন। ৪ এপ্রিল আসামি বেলায়েত হোসেন বাদী আদরের বাবার কাছে একজন লোক পাঠান। ওই লোক নিজেকে ডিবির কর্মকর্তা পরিচয় দেন। তখন বাদীর বাবাকে আসামি ফোন দিয়ে বলেন, ৫ লাখ টাকা না দিলে তার ছেলের অসুবিধা হবে। পরে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার একটি চেক বেলায়েত হোসেনের নামে দেন। ১০ এপ্রিল বাদীর সঙ্গে তার বাবার কথা হয়। বাদী জানতে পারেন, ব্ল্যাকমেইল করে বেলায়েত হোসেন টাকা নিয়েছেন। ৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে ১৫-১৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে বাদীর বাড়িতে ঢোকেন। তারা ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো এবং বাদীর নারায়ণগঞ্জের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জরিমানা ও কারাদন্ড দেওয়ার হুমকি দেন তারা। টাকা দিতে না পারায় বাদী আদরকে মারধর করে রাজধানীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আদরের বাবা, মা ও স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে যান। তখন আসামি বেলায়েত হোসেন বলেন, ২৫ লাখ টাকা না দিলে আদরকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে অথবা তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলা দেওয়া হবে। তখন আদরের বাবা সাড়ে ৩ লাখ টাকা আসামিকে দেন। ১০ আগস্ট আরও ৫০ হাজার টাকা আসামিকে দেওয়া হয়। তাকে আরও ৬ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে আলটিমেটাম দেন বেলায়েত।