বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় করবে কোরিয়ার কেইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শেষে এর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। অটোমেশন পদ্ধতিতে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টোল আদায়ে একটি মাইলফলক সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে সরকার। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে এবং জনস্বার্থে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে কেইসিকে নিয়োগের নিমিত্ত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর ৭৬(২) বিধিতে উল্লিখিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে কেনার প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে ঘর থেকে বের হলে কোনো না কোনোভাবে সরকারকে টোল দিতে হয়।

ব্রিজ, রাস্তাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও টোল দিতে হয়, যাতে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়। আমাদের দেশে এ ব্যবস্থাটি আমরা এখনো চালু করতে পারিনি। যেসব ক্ষেত্রে চালু রয়েছে সেগুলো ম্যানুয়ালি। তাই মানুষজন অনেক কষ্ট পায়। সেগুলো এখনো আমরা অটোমেশন করতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘এটি যদি আমরা পদ্মা সেতু দিয়ে শুরু করতে পারি এ লক্ষ্যে এ কাজের জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে কন্ট্রাক্ট দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেইসি কোরিয়ার প্রায় সব টোল ব্যবস্থাপনা করে। আমরা টোল ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে রয়েছি, যদি এদের পাই তাহলে টোল ব্যবস্থাপনায় একটা মাইলফলক সৃষ্টি হবে। সেজন্য জাতীয় স্বার্থে আমরা এ প্রস্তাবটি অনুমোদ দিয়েছি।’

এ ছাড়া সভায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদতীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজসমূহ রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ, ২০০৬-এর ধারা ৬৮(১) ও পিপিআর, ২০০৮-এর বিধি ৭৬(২) অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণে বাস্তবায়নের প্রস্তাব শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রস্তাবটি আমরা সরাসরি অনুমোদন দিতে পারিনি। তবে শর্তসাপেক্ষে তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম শর্ত হচ্ছে, একনেকে যে প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা বাড়ানো যাবে না। তা ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কোনো ক্রয় প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগে, সে অনুমোদনও নিতে হবে। এ দুটি শর্ত পূরণসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর