শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
অনলাইন বৈঠক

নেতৃত্ব ও নীতি প্রণয়নে চাই যুবাদের অন্তর্ভুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশই যুবা। অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ মানুষের বয়স ১৮-৩৫ বছরের মধ্যে। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করছে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। গতকাল কালের কণ্ঠ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিএসটিসির যৌথ আয়োজনে ‘বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে যুবাদের সংযুক্তি’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান খান কবির, বিশেষ অতিথি ছিলেন নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বেসির সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার মাশফিকা জামান সাটিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামসহ অন্যরাও এতে বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মকাে  যুবাদের অংশগ্রহণের বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সে হিসেবে এখনো বেশ ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশে। বিশেষ করে নেতৃত্ব এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের অংশগ্রহণকে কখনই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তারা বলেন, জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫-২৪ বছরের মানুষকে যুবা হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের যুবানীতিতে ১৮-৩৫ বয়সকে গণ্য করা হয়। তবে বয়স যাই হোক না কেন, যুবাদের নিয়ে সময়োপযোগী নীতি প্রণয়ন করা জরুরি। যুব সমাজ বদলে গেলে এবং তাদের চিন্তার পরিবর্তন হলে বদলে যাবে একটি সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্ব। কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ১৯৫২ সালে আন্দোলন শুরু করেছিল যুব সমাজ। তারপর ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। এর আগেও যে আন্দোলনগুলো হয়েছে তাতে যুবশ্রেণির ভূমিকাটাই বেশি ছিল। জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রচিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে। সেই অর্জনের সিংহভাগ দায়িত্ব ছিল যুব সমাজের ওপর। একটি রাষ্ট্রের যুবকরা যত বেশি শিক্ষিত ও কর্মে দক্ষ হয়, সে দেশ তত এগিয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর