শিরোনাম
শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
রহস্যের খোঁজে র‌্যাব

মাদকের দুনিয়ায় এবার ফেনইথাইলামিন

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

মাদকের জগতে আবির্ভাব হয়েছে ফেনইথাইলামিন নামে নতুন এক মাদক। এক সময় পারফরমেন্স বৃদ্ধির জন্য খেলোয়াড়রা এ মাদক গ্রহণ করলেও ধীরে ধীরে দখল নিয়েছে মাদকের জগতেও। নতুন এ মাদকে অ্যামফিটামিন ও কোকেন দুটো মাদকেরই প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই বিশ্বে কোকেন ও ইয়াবার মতোই গণ্য করা হয় ফেনইথাইলামিনকে। তাই দ্রুতই নেশার জগতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে নতুন ভাবে বাংলাদেশে আবির্ভাব হওয়া মাদকটি। র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘ফেনইথাইলামিন খুবই ব্যয়বহুল মাদকের মধ্যে একটি। যা সাধারণ মাদক গ্রহণকারীর কেনার সাধ্যের বাইরে। প্রথমবারের মতো দেশে মাদকটি জব্দ করায় এ বিষয়ে কারোর সুস্পষ্ট ধারণা নেই। আমরা চেষ্টা করছি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার।’ তিনি বলেন, ‘এ মাদকের গন্তব্য নিয়ে আমরা এখনই নিশ্চিত হতে পারিনি। তদন্ত করতে গিয়ে কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তাদের গ্রেফতার করা গেছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।’ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘ফেনইথাইলামিন একটি সিনথেটিক ড্রাগ। এ মাদকের কার্যকারিতা অ্যামফিটামিন ও কোকেনের মতোই। এটি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত একটি মাদক। যতটুকু জানি এবারই প্রথম মাদকটি বাংলাদেশে জব্দ করা হয়।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গত ১১ আগস্ট জব্দ হওয়া মাদক ফেনইথাইলামিন একটি ‘সিনথেটিক ড্রাগ’। . যা কিছু রাসায়নিক সংমিশ্রণ করে ল্যাবরেটরিতেই তৈরি করা হয় ফেনইথাইলামিন। শুরুতে খেলোয়াড়রা পারফরমেন্স বৃদ্ধির জন্য ফেনইথাইলামিন গ্রহণ করলেও ধীরে ধীরে তা নেশার জগতেও প্রভাব বিস্তার করে। এ মাদকটি মূলত ওজন কমানো,  টেনশন কমানো এবং মনস্থির করার জন্য খেলোয়াড়রা এ মাদক গ্রহণ করত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্য জানান, মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হলেও বাংলাদেশকে ইদানীং ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক মাফিয়ারা। যারা ট্রানজিট পয়েন্টে মাফিয়াদের সহায়তা করে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সরাসরি টাকা না দিয়ে মাদকের চালানের একটি অংশ দিয়ে দেয়।  জব্দ হওয়া ফেনইথাইলামিনের চালানটি এমনও হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর