শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দেওয়াই চ্যালেঞ্জ

-বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পৌঁছে দেওয়াই মূল চ্যালেঞ্জ। জ্বালানি খাতে আগামীতে হিউম্যান রিসোর্স নিয়েও আমাদের চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। তিনি বলেন, আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরেই আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করতে পারব। সব পার্বত্য এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। অবশিষ্ট এলাকায় সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, এনার্জি সিকিউরিটি এবং আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন

সিনিয়র সাংবাদিক অরুণ কর্মকার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। ভার্চুয়াল এ আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন (বিপপা)।

নসরুল হামিদ বলেন, দেশে একসময় টানা ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকত না অথচ এখন মাত্র ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে মানুষজন অধৈর্য হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এখন জেনারেটর ও আইপিএস-এর ব্যবসা আর নেই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের মিটার রিডিং বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে আমরা তিন লাখ মিটার স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা ২৫ একর জমির ওপর বিশ্বমানের পাওয়ার ইনস্টিটিউট তৈরি করছি। আগামী দুই বছরের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিভাগ ডিজিটাল ও পেপারলেস হয়ে যাবে। গভীর সাগরে টার্মিনাল তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে গভীর সাগরে ৭০ শতাংশ পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ খাতে আমাদের অর্জন অনেক কিন্তু চ্যালেঞ্জও অনেক বেশি। রান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহার করাকে বিলাসিতা বলে উল্লেখ করেন ফরাসউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক চিশতী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফী, পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর