বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
রাজশাহী

ডুবল বাস টার্মিনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ডুবল বাস টার্মিনাল

রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়ায় ২০০৪ সালে ৭ দশমিক ৪১ একর জায়গার ওপর ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় বাস টার্মিনাল। ২০১১ সালের জুনে পরিবহন মালিকদের কাছে টার্মিনালটি হস্তান্তর করেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-আরডিএ। সেই থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি টার্মিনালটির। এতে টার্মিনালের ভিতর খানাখন্দে ভরে গেছে। অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। বাস বা অন্য যানবাহন রাখায় পড়তে হচ্ছে ভোগান্তির মুখে। আরডিএসূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে নওদাপাড়ায় ৭ দশমিক ৪১  একর জায়গায় আন্তজেলা বাস টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০০৪ সালে। এতে ব্যয় হয় ৭ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। টার্মিনালে একসঙ্গে ৫০০ বাস দাঁড়াতে পারে। টার্মিনালের পাশাপাশি ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভদ্রা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সংযোগসড়কও নির্মাণ করা হয়।

টার্মিনালটি হস্তান্তর হওয়ায় নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বাস ছাড়া হয় নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে। গুরুত্বপূর্ণ এ টার্মিনালটি নির্মাণের পর আর সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে টার্মিনালের ভিতর খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ভিতরের জলাবদ্ধতা যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে।

টার্মিনালটি নির্মাণের সময় পাশের রাস্তাগুলো নিচু থাকলেও বর্তমানে টার্মিনালটিই রাস্তা থেকে নিচু। যে কারণে বাস রাখা গ্রাউন্ডেও দিনের পর দিন পানি জমে থাকে। হাঁটুপানি মাড়িয়ে বাসে উঠতে হয় যাত্রীদের। অনেক সময় যাত্রীরা টার্মিনালের ভিতরে ঢুকতে চান না। বাইরে অপেক্ষা করেন বাসের জন্য। এতে যাত্রী ভোগান্তির পাশাপাশি সড়কেও ঘটছে দুর্ঘটনা।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে বাস নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় শ্রমিকদের। প্রতিদিন গাড়িপ্রতি ২০ টাকা করে দৈনিক প্রায় ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। অনেকবার জানানোর পরও তারা সংস্কারের উদ্যোগ নেননি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর