শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

নাশকতার আগুন রাজশাহীতে

দুপক্ষের বিরোধে পুড়ছে ঘরবাড়ি দায় নিচ্ছে না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া গ্রামে দুপক্ষের বিরোধে বাড়ি ও আশপাশে রাতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। গ্রামের একটি মসজিদের আর্থিক হিসাবকে কেন্দ্র করে এক মাসে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য তারা পরস্পরকে দায়ী করছেন। বুধবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মসজিদের হিসাবের বিষয়টি মীমাংসা করেছেন। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঝিকড়া গ্রামের রাজারামপুর পাড়া মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন মসজিদ কমিটির সভাপতি নাজির উদ্দিনের বড় ভাই আফজাল হোসেন এবং অপর পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আলতাফ হোসেন। মসজিদ কমিটির কাছ থেকে আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে গ্রামের লোকজন আয়-ব্যয়ের হিসাব চান। হিসাব না পেয়ে তারা জুলাই মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের পর থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে থাকে। স্থানীয়রা জানান, আলতাফের পক্ষের উছমান আলীর ঘরে রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর আফজালের পক্ষের জমসেদ আলীর খড়ের পালায় রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  ১৪ আগস্ট রাতে আফজালের বাড়ির খড়ির স্তূপে আগুন লাগে। তার দাবি, দরজা বন্ধ করে তাকে হত্যার জন্য ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে তিনি আলতাফ হোসেনসহ তার পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর দুদিন পর ১৭ আগস্ট রাতে আলতাফের বাড়ি সংলগ্ন খড়ির ঘরে আগুন লাগে। এ ঘটনায় তিনি আফজালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলেন, মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় আফজাল তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন এবং তাদের ফাঁসাতে নিজের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে নাটক সাজিয়েছেন। আফজাল হোসেন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন তার বাড়িতে আগুন দিয়েছিলেন। তবে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়া নিয়ে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে গ্রামে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। বুধবার রাতে ইউএনওর নেতৃত্বে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হয়েছে। মসজিদের যে পরিমাণ টাকা কমিটির কাছে ছিল তা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর