শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে রোগীশূন্য করোনা আইসোলেশন সেন্টার

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের চরম সময়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রস্তুত করা হয় নয়টি আইসোলেশন সেন্টার। এসব হাসপাতালের মোট শয্যা ৭৮২টি। কিন্তু গত বুধবার রাত পর্যন্ত এসব আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি ছিল মাত্র ৪৪ জন। করোনা সংক্রমণ কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোয় রোগীর সংখ্যাও কমে আসছে। এমনকি তিনটি হাসপাতালে ছিল না কোনো রোগী এবং তিনটি হাসপাতালে রোগী আছে ছয় থেকে আট জন করে। গত বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ১১৮ জন, এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৫৩ জনের এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৭০৮ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত পর্যন্ত ১০০ শয্যার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন করোনা আইসোলেশন সেন্টার, ৬০ শয্যার ফৌজদারহাটের ফিল্ড হাসপাতাল ও ৬০ শয্যার রেলওয়ে হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি ছিল না। তবে ১০০ শয্যার বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল আটজন, ১০০ শয্যার চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ২৪ জন, ৬০ শয্যার হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ছয়জন ও ৩০ শয্যার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ছয়জন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৯৫, জেনারেল হাসপাতালে ৯৬ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৬ জন রোগী ভর্তি আছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত করা আইসোলেশন সেন্টারগুলোয় এখন রোগীর সংখ্যা নিতান্তই কম। প্রথম দিকে রোগীর যে চাপ ছিল এখন তা নেই।’

জানা যায়, গত মার্চে চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসাব্যবস্থায় ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়। এ সময় করোনার রোগী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ রোগীদের মধ্যেও তৈরি হয় চরম আতঙ্ক। চমেক হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে ‘তিল ঠাঁই আর নাহি রে’ অবস্থা।

এ সময় চট্টগ্রামের প্রথম কাতারের অভিজাত বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনা রোগী, করোনা সন্দেহ রোগী, উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগী ভর্তি না নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অসংখ্য ঘটনা ঘটে। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্বাস্থ্য খাতের এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নয়টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়। এসব সেবা কেন্দ্রের কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন অনেকেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর