বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা পরীক্ষায় ভোগান্তিতে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

করোনা পরীক্ষায় ভোগান্তিতে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রেমিট্যান্সযোদ্ধা খ্যাত বিদেশগামীদের। নিবন্ধন করা, টাকা জমা দেওয়া, নমুনা দেওয়া এবং রিপোর্ট সংগ্রহ করার মতো প্রক্রিয়াগুলোতে বিভিন্নভাবে দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। ফলে প্রিয়জন থেকে বিদায়ের শেষ তিন দিনে চরম মানসিক দুশ্চিন্তা ও ব্যস্ততায় কাটাতে হয় বলে জানা যায়। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা মতে, বিদেশগামীদের ফ্লাইটে ওঠার তিন দিন (৭২ ঘণ্ট) আগে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়। এর মধ্যে প্রথম দিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ফি জমা দেওয়া, দ্বিতীয় দিন জেনারেল হাসপাতালে নমুনা প্রদান করা এবং তৃতীয় দিন সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নমুনার রিপোর্ট সংগ্রহ করা। তিন দিনই দীর্ঘ লাইন ধরে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। গত ২২ জুলাই থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাঁচ হাজার ৯৩১ জন নিবন্ধন করে মধ্যপ্রাচ্যে যাত্রা করেন। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, অনলাইনে ফরম পূরণ করে সরকারি যেকোনো ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ওই স্লিপ নিয়ে নমুনা প্রদান করা এবং ফের অনলাইনে রিপোর্ট সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া করলে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের এ দুর্ভোগে পড়তে হতো না।.

 এখন সব কাজের জন্যই সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যেতে হচ্ছে। ফলে করোনা নেই এমন যাত্রীও সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা আছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রথম দিকে  বিদেশগামী যাত্রীদের একটু লাইন ধরে সময় নিয়ে নমুনা প্রদানের কাজগুলো করতে হয়েছিল। এখন আর আগের মতো ভিড় নেই, ভোগান্তিও নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২২ জুলাই রিপোর্ট প্রদান শুরুর পরই দেখা দেয় নানা সমস্যা ও ভোগান্তি। প্রথম দিন নিবন্ধন করে তৃতীয় দিন রিপোর্ট পাওয়ার কথা। কিন্তু ফ্লাইট ছাড়ার এক ঘণ্টা পরও রিপোর্ট পাওয়ার দৃষ্টান্ত আছে। প্রক্রিয়ার জাঁতাকলে পড়ে গত ২৬ জুলাই বিমানের অন্তত ৫০ জন যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছিলেন। ওই দিন বিদেশগামী প্রায় ৩০০ যাত্রীকে রাতভর নির্ঘুম সময় কাটাতে হয়। সকালেও রিপোর্ট না পেয়ে ফ্লাইটের এক ঘণ্টা পর রিপোর্ট পান অনেকেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর