শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

চার নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত মেহেন্দিগঞ্জ

কমছে হিজলার আয়তন, এক মাসে ছয় স্কুল বিলীন

রাহাত খান, বরিশাল

চার নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত মেহেন্দিগঞ্জ

মেঘনার ভাঙনে বিপর্যস্ত দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রমত্তা মেঘনা, মাসকাটা, কালাবদর, ইলিশা ও তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত বরিশালের দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ। পার্শ্ববর্তী হিজলা উপজেলায়ও নদীভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এক মাসের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে দুই উপজেলার ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। এখনো নদীভাঙনের হুমকিতে রয়েছে চারদিকে নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ এবং সংলগ্ন হিজলা। সহায়-সম্বল রক্ষায় দ্রুত নদীভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং ডুবোচর কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাঙনরোধ করা সম্ভব বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ।

নদীভাঙনসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেই বসবাস চারদিকে নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ এবং চরবেষ্টিত সংলগ্ন হিজলার উপজেলার মানুষের। একাধিকবার নদীগর্ভে বাড়িঘর বিলীন হওয়ার পর এখনো নদীভাঙনের হুমকিতে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। সাম্প্রতিক সময় উত্তরের বন্যা এবং জোয়ারের পানির প্রভাবে মেহেন্দিগঞ্জের চর এককরিয়া, উত্তরচর, আলীগঞ্জ, রুকুন্দি, স্টিমারঘাট, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, শ্রীপুর, আলীমাবাদ ও দড়িরচর খাজুরিয়া এবং হিজলার পুরাতন হিজলা, দক্ষিণ বাউশিয়া ও হরিনাথপুর এলাকায় নদীভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে গত এক মাসে দুই উপজেলার ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনসহ বাড়িঘর, স্থাপনা, রাস্তাঘাট ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীতে হারিয়ে গেছে। নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। এখনো ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের। স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।

বুধবার মেহেন্দিগঞ্জের উত্তরচর এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সান্ত্বনা দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ। বেরিড়বাঁধ নির্মাণ এবং ডুবোচর কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাঙনরোধে স্থানীয়দের আশ্বাস দেন তিনি।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিব জানান, এবার সারা দেশের মতো মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা উপজেলায়ও ব্যাপক নদীভাঙন হয়েছে। দুই উপজেলায় শুধু এক মাসে ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। দুই উপজেলার ভাঙনরোধে মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। এ প্রকল্প পাস হলেই ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. রাকিব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর