বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভুল আসামি লিটনের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নামের সঙ্গে মিল থাকায় দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির পরিবর্তে ভোলার মো. লিটনের কারাগারে থাকার ঘটনায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালতকে (আদালত-২) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি তদন্তে ভুল আসামি প্রমাণিত হলে লিটনকে অবিলম্বে মুক্তি দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালতে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং কারাবন্দী মো. লিটনের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও মো. শাহিনুজ্জামান। গত ২২ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শুধু নাম ঠিকানা মিলে জেল খাটছেন দিনমজুর’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৪ আগস্ট হাই কোর্টে রিট দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং লিটন। রিটে আবেদনে লিটনের পরিচয় নিশ্চিতকরণে তাকে সশরীরে অথবা ভার্চুয়ালি হাই কোর্টে হাজির করা, তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া এবং তার আটক আদেশ অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শক, ভোলার পুলিশ সুপার, ভোলার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দেয় হাই কোর্ট। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দুজনের নাম মো. লিটন। বাবার নাম, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নামও এক। পার্থক্য শুধু বয়সে। একজনের অপরাধে প্রায় আট মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন আরেকজন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটনের বয়স ৪১ বছর। আর যিনি জেল খাটছেন তার বয়স ৩০ বছর। তবে পুলিশের দাবি গ্রেফতার লিটন একবারের জন্যও বলেননি যে, তিনি আসামি নন। দুই লিটনেরই বাবার নাম নুর ইসলাম। তারা মারা গেছেন।

দুজনেরই বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামে।

২০০৯ সালের ২৮ জুন পল্টন থানার আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তৈরি আমদানি নিষিদ্ধ চেতনানাশক ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার হন লিটন, শামীম ও আরশাদ মিয়া নামে তিনজন। এ ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিচার শুরুর আগেই ওই তিনজন জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ আসামিদের দুই বছর করে সশ্রম কারাদ- ও দুই হাজার টাকা করে অর্থদ- দেন।

গ্রেফতার লিটনের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, লিটনকে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বাবা নুর ইসলাম ১০ বছর আগে মারা গেছেন। আসামি লিটনের বাড়ি তাদের বাড়ি থেকে ২-৩ মিনিটের পথ। তার বাবা ৩০ বছর আগে মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ায় মাকে নিয়ে আসামি লিটন ঢাকায় চলে যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর