শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থীদের গলার কাঁটা মেস ভাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে বন্ধ আছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বর্তমানে আছেন তাদের বাড়িতে। দীর্ঘদিন ধরে অভিভাবকদের আয়ের পথ বন্ধ। শিক্ষার্থীদের টিউশনি ও খ-কালীন চাকরিও বন্ধ। ফলে বাসা বা মেস ভাড়া জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। মালিকদের চাপে শিক্ষার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেস ভাড়া। মেস মালিকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে ভাড়া দেওয়ার জন্য রীতিমতো হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা জানান, এ দুর্যোগ সময়েও তাদের কাছে ফোন দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ভাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিনের তত্ত্বাবধানে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী মিলে একটি বাসা ভাড়া করে থাকতেন নগরীর তালাইমারী এলাকায়। তিনি বলেন, এপ্রিল থেকেই বাসার মালিক ফোন দিয়ে ভাড়া পরিশোধের কথা বলে আসছেন। মেসের অন্য সদস্যরা দীর্ঘদিন গ্রামের বাড়ি থাকায় ভাড়া দেওয়ার অবস্থা নেই। তারা ভাড়া দিতে অপারগতা জানিয়েছেন। নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ না করায় বাড়িওয়ালা বাসা থেকে মালপত্র বাইরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তাই বাধ্য হয়ে জুলাই পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করে বাসাটি ছেড়ে দিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, মেস মালিক সমিতির নির্দেশনায় ৫০ ভাগ ভাড়া মওকুফের কথা থাকলেও সে নির্দেশনা মানছেন না বাড়ির মালিকরা। নগরীর মেস ভাড়া মওকুফ করলে দরিদ্র-অসহায় শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। গত ১৭ মে ‘রাজশাহী মহানগর মেস মালিক সমিতি’ নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। এর নেতারা জানান, নগরীতে প্রতিনিধিত্ব করে এ ধরনের কোনো মেস মালিক সমিতি রাজশাহীতে নেই। তাদের হিসাব অনুযায়ী রাজশাহী মহানগরীতে ঘোষিত-অঘোষিত মেস আছে ৫ হাজার ৪০০।

সংগঠনটির সভাপতি এনায়েতুর রহমান জানান, রাজশাহী নগরীতে ৫০ শতাংশ ভাড়া কমানো হয়েছে। যারা থাকবেন তাদের জন্য শুধু ৫০ শতাংশ ভাড়া কমানো হবে। এ নির্দেশনা সব মালিককে দেওয়া হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর