বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে ভাঙল ‘অসাধু চক্র’

একযোগে ১৬৮ জন বদলি, হচ্ছে সংস্কারও

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

নিয়ম মতে, তিন বছর পর পর কর্মস্থল পরিবর্তন করার কথা। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগে মানা হয় না এ নিয়ম। একজন এক পদে তিন থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত চাকরি করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এক পদে চাকরি করার সুবাধে কিছু অসাধু কর্মচারী তৈরি করেছে একটি চক্র।  চক্রটির কবলে পড়ে এক সময়ের স্বাস্থ্যসেবায় আস্থার শীর্ষে থাকা বিভাগটির সুনাম ক্ষুণœ হতে থাকে। অবকাঠামো, জনবল ও স্থাপনা থাকা সত্ত্বেও নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না সংস্থাটি।   তবে এবার চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একযোগে বদলি করা হয়েছে ১৬৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। ফলে ধাক্কা খেল চক্রটি। বদলি হওয়াদের মধ্যে আছেন চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, প্যারামেডিক, প্যাথলজি টেকনিশিয়ান, ওয়ার্ড মাস্টার, ওয়ার্ডবয়, স্টোর কিপার, সেবক, স্বাস্থ্য সহকারী, ইপিআই কর্মকর্তা ও কম্পিউটার অপারেটর। অন্যদিকে, চসিকের স্বাস্থ্য খাতে শুরু হয়েছে সংস্কার-পরিবর্তন। একজন চিকিৎসক কর্মস্থলে আসার পর মোবাইলে এসএমএস দিতে হয় বিভাগীয় প্রধানকে। যাওয়ার সময় অবগত করতে হয় কতজন রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও হাসপাতাল। নগরবাসীর প্রত্যাশা, অসাধু চক্র ভাঙার মাধ্যমে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সুনাম ফিরে আসবে। নগরবাসী ওয়ার্ড স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, মাতৃসদন হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন।  চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, ‘অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে একই পদে চাকরি করে আসছেন। এক পদে বেশি দিন থাকায় কাজে স্থবিরতা চলে আসে। তাই এ স্থবিরতা দূর এবং কাজে গতিশীলতা আনতে ১৬৮ জনকে বদলি করা হয়েছে।

একই সঙ্গে চসিকের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে চারটি মাতৃসদন হাসপাতাল, একটি জেনারেল হাসপাতাল, ৫১টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৩৩৫টি ইপিআই কেন্দ্র, একটি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যাটস, একটি জুনিয়র মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউট, একটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার, একটি ডা. জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ১২টি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্র, একটি কবরস্থান, দুটি শ্মশান।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর