বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ওসি এসপি সেজে প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

কখনো ওসি আবার কখনো পরিচয় দিতেন এসপির। হোয়াটসঅ্যাপেও ব্যবহার করতেন পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি। ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণা করতেন প্রবাসীদের সঙ্গে। এমন প্রতারকচক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারকচক্রের মূল হোতা কাজী অপুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অপু সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাজীবাড়ি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তার ভাই কাজী টিপুসহ ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, কাজী অপু এডিট করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের ছবি যুক্ত করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য তাকে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান তিনি।

 পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার পর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী শেখ মোরশেদ আহমদের সঙ্গে পরিচয় হয় কাজী অপু ও কাজী টিপুর। একপর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মোরশেদকে দিয়ে ১৯ লাখ টাকায় ৩টি মাইক্রোবাস (নোহা) কেনায় তারা। এসব গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা বলে গত ৩০ জুন মোরশেদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন অপু ও তার ভাই। এরপর থেকে শুরু হয় টালবাহানা।

গত ২৭ আগস্ট কাজী অপু একটি মাইক্রোবাস বিক্রয়ের বায়নামাপত্র দেন শেখ মোরশেদকে। ওই কাগজপত্রে বিআরটিএ কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে জানতে পারেন ক্রেতা। এরপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি ও সিলেটের পুলিশ সুপার সেজে ফোনে শেখ মোরশেদকে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ ও ডিজিটাল নম্বর প্লেটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপে ওসি ও এসপির ছবি সংযুক্ত করে রাখায় প্রথম দিকে শেখ মোরশেদ প্রতারণার বিষয়টি টের পাননি। পরে কাজী অপু ও তার ভাই কাজী টিপুর কারসাজির কথা বুঝতে পেরে গতকাল ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন শেখ মোরশেদ। গতকাল পুলিশ কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর