ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের অপমৃত্যুর মামলায় পাঁচজনের মাল ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম এ আদেশ দেন। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে ক্রোক সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যাদের মাল ক্রোকের আদেশ হয়েছে তারা হলেন- প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হক, কবির বকুল, শুভাসিস প্রামাণিক, মহিদুল আলম পাভেল ও শাহপরান তুষার। বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গত বছরের ৬ নভেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলাটি করেন মুজিবুর রহমান। গত বছরের ১ নভেম্বর কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।
অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় তা অরক্ষিত ছিল। ঘটনাস্থলের খুব কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ৪টা ৫১ মিনিটে। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায় কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পায়। এটি পরিকল্পিত এবং গাফিলতি ও অবহেলাজনিত হত্যাকান্ড। পরে আদালত আবরারের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু এবং আদালতে দাখিল করা অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা তদন্ত করতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালত। ১০ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল আলীম মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
