শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিঘ্নিত হচ্ছে অনলাইন ক্লাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আমাদের এলাকার বিদ্যুৎ রোদও সহ্য করতে পারে না, পানিও সহ্য করতে পারে না’। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনটাই লিখেছেন মশিউর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী। রাজধানী ঢাকাতেও যখন তখন লোডশেডিংয়ের ফাঁদে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। এমনকি গত কয়েক দিন ধরে রাত ১২টার পরও লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে রাজধানীতে।  তথ্যমতে, করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকাল সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত অথবা বিকাল সোয়া ৪টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ শীর্ষক অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া মাধ্যমিক শ্রেণিগুলোতে সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে বিকাল পৌনে ৩টা পর্যন্ত একই টেলিভিশনে ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শীর্ষক অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করা হয়। টেলিভিশনে পাঠদানের এ সময়েও বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংয়ে নাকাল হতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও লোডশেডিংয়ের কারণে সমস্যায় পড়ছে। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, করোনার কারণে দেশে ফিরে এসেছে তারা খুবই সমস্যায় রয়েছেন। বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে এ শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত থাকতে পারছেন না।  রাজধানীতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কম হলেও ঢাকার বাইরের জেলা-উপজেলায় লোডশেডিং সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। বাতাস কিংবা একটু বৃষ্টি হলেই লোডশেডিংয়ের খপ্পরে পড়তে হয় তাদের। অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবীর দুলু প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসের সময় কোনোভাবেই লোডশেডিং যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দিনে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা অবশ্যই লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত করতে হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, সরকার প্রচার করছে যে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। তাহলে বারবার লোডশেডিং হচ্ছে কেন?

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর