শিরোনাম
শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্ষত সারিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবন

কমছে নদ নদীর পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেড় মাসের বন্যা সবকিছু তছনছ করে দিয়ে গেছে। কেড়ে নিয়েছে থাকার জায়গা, ভেঙে গেছে ঘর। নদীর পেটে গেছে ভিটেমাটি। নিঃশেষ হয়ে গেছে জমানো টাকা ও খাবার। তাই পানি নেমে গেলেও এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি বন্যাদুর্গতরা। এর মধ্যেই ফের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দুর্গত এলাকাগুলোতে। তবে দুই দিন বৃদ্ধির পর আবারও দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সহসা নতুন করে বন্যার কোনো পূর্বাভাসও দেয়নি বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এতে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে বানভাসি মানুষের মাঝে। ধীরে ধীরে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে দুর্গত এলাকাগুলো। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকাল সকালের তথ্যমতে, গঙ্গা-পদ্মা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যাদুর্গত এলাকায় এখনো খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের অভাব রয়েছে। রংপুর থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বাঁধ, সড়ক ও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরেছেন মানুষ। প্রত্যেকেই ঘরবাড়ি মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 হাতে টাকা না থাকায় কোনোরকমে জোড়াতালি দিয়ে বসবাসের উপযোগী করছেন থাকা ও রান্নার ঘরটি। কৃষক পুরোদমে জমিতে নেমে গেছেন নতুন করে ফসল ফলাতে। বন্যায় এ অঞ্চলে ১৪ হাজার হেক্টর জমির ১৭৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আমনচাষি নুরুজ্জামান বন্যার ধকল কাটিয়ে ছয় বিঘা জমিতে আমনের চারা লাগিয়েছেন। একই গ্রামের আকবর হোসেন তিন বিঘা ও আফজাল হোসেন তিন বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ছয় হাজার ৪৪১ হেক্টর জমির পাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছয় হাজার ৪৪১ হেক্টর জমির আউস, এক হাজার ১৬৬ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, এক হাজার ২৪৪ হেক্টর জমির শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের পাশাপাশি কৃষি বিভাগ ২২১ একর জমিতে নাবি জাতের বীজতলা করেছে। এ ছাড়া ভাসমান বীজতলা করেছে ৫০০ একর এবং ৩৬৮ জনকে ট্রের মাধ্যমে বীজতলা করে দিয়েছে কৃষি বিভাগ। বিতরণ করছে সার ও সবজি বীজ। তবে করোনা ও বন্যার কারণে অনেক মানুষের হাতে কাজ না থাকায় ঘরে ঘরে অভাব দেখা দিয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর