রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ইউএনওদের বাসভবন জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনার অধিকাংশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সরকারি বাসভবন প্রায় তিন যুগের পুরনো। রূপসা ও ফুলতলা ইউএনওদের বাড়ি জরাজীর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। কয়রায় ইউএনওর সরকারি বাসভবনে দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে পানি পড়ে। ডুমুরিয়াসহ কয়েকটি উপজেলায় ৪/৫ বছর আগে ইউএনওদের বাসভবন নির্মিত হলেও নিচু সীমানা প্রাচীরসহ নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থাপনার সংস্কার জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, খুলনার রূপসা ইউএনওর সরকারি বাসভবন কাজদিয়া সদর এলাকায়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বাড়িটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। নিচু দেওয়াল টপকে দিনে-রাতে যে কেউ বাড়িতে ঢুকতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ইউএনও নাসরিন আক্তার বাসাভাড়া নিয়ে অন্যত্র থাকছেন। একইভাবে জরাজীর্ণ হওয়ায় ফুলতলা ইউএনওর বাসভবনও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর থেকেই সাদিয়া আফরিন অন্যত্র বাসাভাড়া নিয়ে থাকেন। জানা যায়, দিনাজপুরে ইউএনওর বাড়িতে ঢুকে হামলার পর খুলনার ৯ উপজেলায় ইউএনওদের শারীরিক ও আবাসিক নিরাপত্তায় চারজন করে সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত তারা অফিস ও বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। তবে সার্বিক নিরাপত্তায় সরকারি বাসভবনের অবকাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন ডুমুরিয়া ইউএনও মোছা. শাহনাজ বেগম।

 তিনি বলেন, সরকারি বাসভবনের সীমানা প্রাচীর খুবই নিচু। রাতে নিরাপত্তার জন্য সরকারিভাবে একজন নাইটগার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করতে গেলে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জরুরি।

কয়রা ইউএনও অনিমেষ বিশ্বাস জানান, সরকারি বাসভবনের পলেস্তারা উঠে গেছে, বৃষ্টি হলে পানি পড়ে- এ অবস্থা দুঃখজনক। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় কোনোমতে সংস্কার করে থাকতে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা না থাকলে সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

সর্বশেষ খবর