রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আমদানি নীতি জটিলতায় সংকটে মোটরসাইকেল শিল্প

হুমকিতে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংকট কাটিয়ে বাজারে হঠাৎ মোটরসাইকেলের চাহিদা বেড়েছে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়িয়ে নিজস্ব বাহনের প্রতি মানুষের ঝোঁক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই চাহিদা বেড়েছে। তবে আমদানি নীতিমালা জটিলতার কারণে বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন সংকটে পড়েছে। দীর্ঘ কয়েক মাস বিপণন বন্ধ থাকার পর এখন চাহিদা বাড়লেও ক্রেতাদের পর্যাপ্ত সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে বাজারে মোটরসাইকেলের সংকট তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা মোটরসাইকেল বেশি বিক্রি হয়। বর্তমানে দেশে এই খাতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে বিপুল মানুষের। মোটরসাইকেল দেশে সংযোজন করা হলেও মূল যন্ত্রাংশ চীন, ভারত থেকে আমদানি করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে সংশ্লিষ্ট দেশে সবকিছু বন্ধ থাকায় দুই মাস আমদানি করা সম্ভব হয়নি। ফলে গত জুন পর্যন্ত সুযোগ থাকলেও সিকেডি (রং করা যন্ত্রাংশ আমদানি) সুবিধা কেউ নিতে পারেনি। দেশে মোট  মোটরসাইকেলের এক-চতুর্থাংশ সিকেডি পদ্ধতিতে সংযোজন করা হয়। চলতি বছরের বাজেটে এ সুবিধা না রাখায় বিপাকে পড়েছে বেশির ভাগ বিপণন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে বিপণন করা হয় এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতীয় ব্র্যান্ড বাজাজ, হিরো ও টিভিএস এবং জাপানের ব্র্যান্ড হোন্ডা, সুজুকি ও ইয়ামাহা এখন দেশেই তৈরি হয়। তাদের কিছু কিছু মডেলের  মোটরসাইকেল সংযোজিত হয়। উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, দুই মাস বিক্রি প্রায় বন্ধ ছিল। এখন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যখন বাজারজাত করার সুযোগ পেয়েছে তখনই নতুন সংকটে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ডিলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। চাহিদামতো গ্রাহকরা মোটরসাইকেল পাচ্ছেন না। সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। আমাদের দাবি, ২০২৫ সাল পর্যন্ত সিকেডি আমদানি সুযোগ রাখা হোক। তাতে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

সর্বশেষ খবর