সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শেবাচিম যেন এক ময়লার ভাগাড়

বর্জ্য নেয় না সিটি করপোরেশন জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

রাহাত খান, বরিশাল

শেবাচিম যেন এক ময়লার ভাগাড়

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনার শুরু থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য নিচ্ছে না সিটি করপোরেশন। হঠাৎ করোনা ওয়ার্ডসহ পুরো মেডিকেলের বর্জ্য অপসারণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে কর্তৃপক্ষ। কোনো বাছবিচার ছাড়াই মেডিকেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিভাগের গেটের পাশে খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলায় পুরো এলাকাটি পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। এতে জরুরি বিভাগের গেটসহ আশপাশের এলাকায় অসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা দ্রুত ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন। এদিকে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সিটি মেয়রের মানবিক সহায়তার আশায় থাকলেও এ ব্যাপারে নাকি কিছুই জানা নেই সিটি করপোরেশনের। শেরেবাংলা মেডিকেলের ৫টি প্রবেশ পথের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিভাগের গেট। দিনরাত এখান থেকে মেডিকেলে যাতায়াত করেন হাজারো রোগী, স্বজন, ডাক্তার-নার্স-কর্মচারী। অথচ এই সড়কের পাশে খোলা জায়গায় গত ৫ মাস ধরে পুরো মেডিকেলের বর্জ্য ফেলে এক অসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি করেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে করোনা ওয়ার্ডের বর্জ্যও রয়েছে। ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন বর্ষা আক্তার বলেন, প্রকট দুর্গন্ধে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সাধারণ মানুষের এখান দিয়ে হাঁটা দায়। শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, করোনার শুরু থেকে আতঙ্কের কারণে সিটি করপোরেশন বর্জ্য নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়েন তারা। বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে গর্ত করে ময়লা রাখেন। জনদুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে মেডিকেলের পরিচালক সিটি মেয়রের সঙ্গে কথা বলছেন। তবে মেডিকেলের জরুরি বিভাগের পাশে বর্জ্যরে স্ত‚প করে রাখার বিষয়ে সিটি করপোরেশন কিছুই জানে না বলে দাবি করেন প্যানেল মেয়র-১ গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।

তিনি বলেন, মেডিকেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। তারা সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্তকর্তাকে ফোনে বলতে পারতো, নগর ভবনকে চিঠি দিতে পারতো। তারা কোন অফিশিয়াল নিয়ম-কানুনও ফলো করেনি। সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেললে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাতের আাঁধারে সেগুলো ট্রাকে অপসারন করে বলে জানান প্যানেল মেয়র লিটু।

১ হাজার শয্যা বিশিস্ট শের-ই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমান সময়ে গড়ে রোগী থাকছে দেড় হাজারের মতো। তাদের প্রত্যেকর সাথে রয়েছে একাধিক স্বজন। ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীও রয়েছে সহস্রাধিক। বর্হিবিভাগেও দৈনিক ডাক্তার দেখাতে আসেন আরও সহস্রাধিক রোগী। করোনা ওয়ার্ড সহ পুরো হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৫ থেকে ৭ টন বর্জ্য হয় বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর