মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনার প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিপাকে

টিকে থাকতে বড় ছাড়ে পণ্য বিক্রি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনার প্রভাবে খুলনার প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিপাকে পড়েছেন। পুঁজির ঘাটতি, দিনে দিনে বাড়ছে দেনা। দোকানে বেচাকেনা বন্ধ, সেই সঙ্গে কর্মচারীদের বেতন, বাসাভাড়া, ভরণ পোষণে পুঁজি শেষ হয়ে গেছে অনেকের। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও তার সুবিধা পায়নি এসব ব্যবসায়ী। জানা যায়, খুলনার শিববাড়ি মোড় থেকে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অর্ধশত গার্মেন্টস্ পণ্য, টেইলার্স, ক্রোকারিজ আইটেম বিক্রির অভিজাত দোকান। করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। দোকানে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরও পণ্য বিক্রিতে বড় ধরনের ছাড় দিয়ে টিকে থাকতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠান জেন্টল পার্কের শাখা ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, সামনে শীতের মৌসুম আসছে তখন গরমের পোশাক বিক্রি হবে না। টিকে থাকতে ৩০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরও ক্রেতার দেখা মিলছে না। প্রায় একই অবস্থা ফার্নিচার, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, মুদি ব্যবসায়ীদের।

খুলনা ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য আমিনুল ইসলাম টিটো বলেন, ক্ষতির মুখে অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। দোকানে বেচাকেনা নেই, প্রতিদিনই বাড়ছে দেনার পরিমাণ। প্রতি দোকানে গড়ে তিনজন কর্মচারী থাকলে তাদের মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা বেতন দিতে হচ্ছে। তার ওপর রয়েছে দোকান ভাড়ার বাড়তি চাপ।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্যাকেজ বা ঋণ সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাংকে সরাসরি লেনদেন না থাকায় ব্যাংকগুলো তাদেরকে ঋণ দিতে আগ্রহী হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সংগঠন বা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমন্বয় তৈরি করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস জানান, পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। এদের মধ্যে আবার অনেকের দেউলিয়া হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সরকারি প্রণোদনা বা ঋণ সুবিধা দিতে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর