মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ‘কভিড-১৯ সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে। সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাক্ষরতা দিবসের বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মানসম্মত ও সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করতে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে সাক্ষরতার হার ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সাক্ষরতা ও শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে দেশকে আমরা নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে চাই।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালের হিসাবে দেশে তখন পর্যন্ত গড় সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। সেই হিসাবে এক বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী, সাক্ষরতা হচ্ছে পড়া, অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে এবং লেখার বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করা, যোগাযোগ স্থাপন করা এবং গণনা করার দক্ষতা। অর্থাৎ সাক্ষরতা বলতে লিখতে, পড়তে, গণনা করতে ও যোগাযোগ স্থাপন করার সক্ষমতাকে বোঝানো হয়। সাক্ষরতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীর সমমানের হতে হবে বলে মানদন্ড নির্ধারণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত রবিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২১ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে। পিইডিপি-৪-এর আওতায় আট থেকে ১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয়বহির্ভূত ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসডিজি-৪ অর্জনের লক্ষ্যে নন-ফরমাল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগাম নামে একটি কর্মসূচিভিত্তিক প্রকল্প প্রস্তাবও প্রস্তুত করা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর