বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রামের রোগীরা

খোলা হয়েছে পোস্ট কভিড-১৯ সিম্পটম সেল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

করোনা-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রামের রোগীরা

করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার পর ফের নানা রোগে ভুগছেন রোগীরা। করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও অনেকেই নানা নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন। দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা। বাড়ছে ‘করোনামুক্ত রোগীর’ সংখ্যা। স্বাস্থ্যসেবায় এখন নতুন চ্যালেঞ্জ করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে খোলা হয়েছে ‘পোস্ট কভিড-১৯ সিম্পটম সেল।’

করোনা পরবর্তী সমস্যা নিয়ে দেশে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি। ফলে এর কোনো পরিসংখ্যানও নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে শরীরের ভিতরে লুকিয়ে থাকা জীবাণুগুলো ক্রমশ প্রকাশ হতে থাকে। তাই এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিক চিকিৎসা জরুরি।’ আক্রান্ত রোগী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও রোগীরা বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ রোগীই ভুগছেন দীর্ঘমেয়াদি দুর্বলতায়। তাছাড়া জ্বর ছাড়াই শরীর গরম থাকা, ফুসফুস সমস্যা, হাড় জয়েন্ট পিঠ ঘাড় কোমড় হাতের কব্জি তালু গিরা আঙ্গুল কনুই ও পায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, চুলপড়া, কিডনি সমস্যা, নতুন করে ডায়াবেটিকস দেখা দেওয়া, উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা,  সিঁড়ি দিয়ে উঠলে হাঁপানো, বেশিক্ষণ হাঁটলে, পরিশ্রম করলে বা ব্যায়াম করলে হাঁপানো, কিছু দিন পর পর সর্দি, কাশি, নাকবন্ধ, গলা চুলকানো, পেটের সমস্যা দেখা দেওয়া, চোখ ওঠা-চুলকানো ঘুমের সমস্যা হওয়া, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া।

 স্বাদ-গন্ধ ফিরে আসতে দেরি হওয়া, স্মৃতিভ্রম সমস্যা ও হাত-পায়ের নখ কালো হওয়া।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. আবদুর রব বলেন, ‘করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতা দিন দিন বাড়ছে। বৈশ্বিকভাবে যেহেতু করোনার চরিত্র চিহ্নিত করা হয়নি, তাই এ ব্যাপারে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা রোগীর রোগের ধরন ও অবস্থা ভেদে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।’

চমেক হাসপাতালে কভিড রোগী নিয়ে কাজ করা গবেষক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নুর জাহান বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভালো হওয়ার পরও বহুমাত্রিক রোগে আক্রান্ত হওয়া ঘটনা বাড়ছে। করোনারভাইরাসটি শরীরের নানা মাত্রায় প্রভাব ফেলছে। ১৪ দিন পর ভাইরাসটি নষ্ট হলেও শরীরের মধ্যে এর প্রভাব থেকে যায়।’  

সর্বশেষ খবর