শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বন্ধ হয়ে গেল অনলাইনে করোনা রিপোর্ট

চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে গেল অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে করোনার রিপোর্ট প্রাপ্তি। এর ফলে অনলাইনে রিপোর্ট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চট্টগ্রামের ছয়টি ল্যাবে নমুনা প্রদানকারীরা। সবাইকে আগের মতোই সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগাযোগ করেই নমুনার রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অনলাইন পদ্ধতি বন্ধ হওয়ায় রোগীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। জানা যায়, গত ১৭ জুন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়াং সোশ্যাল এক্টিভিজম বোর্ড-ওয়াইস্যাব-এর কারিগরি ও স্বেচ্ছাসেবী সহায়তায় চট্টগ্রামের নমুনার রিপোর্ট পেতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে খুব সহজে ঘরে বসেই করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে আসছিল। সংগঠনটির ২০ সদস্যের উদ্যমী একটি টিম ফল তৈরি করত। কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াইস্যাব-এর কারিগরি সহায়তায় অনলাইনে করোনার রিপোর্ট প্রদান শুরু করেছিল।

 কিন্তু এখন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হওয়ায় তারা আর আগের মতো সময় দিতে পারছেন না। তাছাড়া আমাদের এ-সংক্রান্ত কোনো ফান্ডও নেই। তাই অনলাইনে রিপোর্ট প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আগের মতো সিভিল সার্জন অফিস অথবা নমুনা প্রদানকৃত কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করতে হবে।’

ওয়াইস্যাব-এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ বলেন, ‘দুই মাস ১৩ দিনে প্রায় ৭৫ হাজার নমুনার রিপোর্ট অনলাইনে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সংগঠনের কেউ শিক্ষানবিশ চিকিৎসক, কেউ মেডিকেল শিক্ষার্থী। এখন কম- বেশি সবাই নিজ নিজ কর্মস্থল এবং একাডেমিক কাজে ব্যস্ত। তারা এখন আগের মতো সময় দিতে পারছেন না। তাই অনলাইন রিপোর্ট প্রদান বন্ধ করা হয়েছে।’ 

জানা যায়, অনলাইনে করোনার রিপোর্ট প্রদানের আগে দীর্ঘদিন পরও রিপোর্ট না আসা, ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা, রিপোর্ট না আসায় কর্মজীবীদের নানা সমস্যা-ভোগান্তিতে পড়া, দিনের পর দিন রোগ নিয়ে আতঙ্কে থাকা, রিপোর্ট প্রাপ্তি নিয়ে ধুয়াশায়সহ নানা হতাশা, শঙ্কা, দুর্ভোগ ও অনিশ্চয়তায় থাকতে হত করোনার নমুনা প্রদানকারীদের। কিন্তু অনলাইন পদ্ধতি শুরুর পর এসব সমস্যা-সংকট নিরসন হয়েছিল। সুষ্ঠু, সুন্দর, পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উপকৃত হয় রোগীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর