শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ

স্বজনদের অঝোরে কান্না মসজিদে মসজিদে দোয়া

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

কিছুতেই কান্না থামছে না পশ্চিম তল্লাবাসীর। সাত দিন পর গতকাল শুক্রবার সেই বীভৎস দিনটির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে স্বজনহারাদের। দুঃসহ স্মৃতি আঁকড়ে অঝোর ধারায় কেঁদেছে তারা। গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিস্ফোরণের পর থেকে বাইতুস সালাত জামে মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ রয়েছে। তবে এলাকার অন্য মসজিদগুলোয় গতকাল জুমার নামাজের পর মুসল্লিরা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেছেন। এ সময় অনেক মুসল্লি স্বজন হারানোর শোকে আবেগআপ্লুত হয়ে অঝোর ধারায় কেঁদেছেন। গতকাল ডিপিডিসি, তিতাস, ফায়ার সার্ভিস কিংবা তদন্তকাজে নিয়োজিত কোনো সদস্যকে বিস্ফোরণ এলাকায় দেখা যায়নি। পশ্চিম তল্লা এলাকার সড়কটি খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এলাকাবাসী দুর্ভোগে পড়েছে। আর কিছু এলাকায় গ্যাস থাকলেও অনেক এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবদুল মালেকের বড় ছেলে ফাহিম ইসলাম বলেন, ‘আজ (গতকাল) শুক্রবার। বাবার কথা বেশ মনে পড়ছে। স্বজন হারানোর বেদনায় আমাদের বুক ভারী হয়ে আছে।’

তিন ছেলের মধ্যে কলেজপড়ুয়া দুই ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা পারুল বিবি। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ কলেজে পড়ত সাব্বির আর সরকারি তোলারাম কলেজে পড়ত জুবায়ের। বুকের মানিক দুইটারে নিয়া অনেক স্বপ্ন ছিল আমার। আমি নিজে টিউশনি করে ওদের পড়ালেখা চালাইছি। এখন আমার সব শেষ।’ রোলিং মিল ব্যবসায়ী দুই ছেলে ও চার মেয়ের বাবা কুদ্দুস বেপারীর স্বজনদের কান্না থামছে না। এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত কুদ্দুস বেপারী অবসর জীবনে বেশির ভাগ সময় মসজিদেই কাটাতেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর